Background

জনগনের সম্পদের মূল্য কত?!!!

হরতাল বিষয়ক টিপসঃ
সরকারের একটু উদ্যোগ, একটু কর্মতৎপরতাই পারে হরতালের মাধ্যমে দেশের জন্য অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বয়ে আনতে। হরতাল দিতে হলে হরতালকারিকে সরকারের কোষাগারে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা করসহ দিতে হবে — এমন নিয়ম করলে হরতাল থেকে প্রচুর রাজস্ব আয় করতে পারে সরকার। সুষ্ঠুভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনে স্থাপন করা যেতে পারে হরতাল বিষয়ক আলাদা বিভাগ। হরতালকারীকে প্রথমেই ‘হরতাল আবেদনপত্র’ পূরণ করে ব্যাংক ড্রাফটের কপিসহ উক্ত বিভাগে জমা দিতে হবে। আবেদন করা হরতালকারী হরতাল করতে কতটুকু সক্ষম তা খতিয়ে দেখার পর অনুমতি দেবে বিভাগ। এ ক্ষেত্রে ‘আগে আসলে আগে হরতাল দেবেন’ নীতি অনুসরণ করা যেতে পারে।

 একই দিনে একাধিক পক্ষ হরতাল দিতে চাইলে আবেদনকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ অর্থদাতাকে হরতালের জন্য মনোনীত করার ব্যবস্থাও রাখা জরুরি। যাদের পর্যাপ্ত পিকেটার কিংবা ইট-পাটকেল নেই, তাদের অর্থের বিনিময়ে পিকেটার ও ইট-পাটকেল দিয়েও আয় করা সম্ভব। এভাবেই হরতাল হয়ে উঠতে পারে জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্ব পূর্ণ অংশ। তাছাড়া হরতাল বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় থেকে তদন্তের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা ও রাখা যেতে পারে । আশা করি কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ব্যাপারটি নিয়ে চিন্তা করবে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। আইডিয়াটা কেমন হবে ?!!!   - আকরাম হোসাইন ।

মতামতঃ
আর একটা আইডিয়া, রাস্তা-ঘাটে বোমাবাজি করা যাবেনা ও মানুষ হত্যা করা যাবেনা, এই শর্তও রাখতে হবে।  আর কোষাগারে জমায়িত টাকা থেকে জনগনের জান ও মালের ক্ষতিপূরণ করতে পারবে সরকার। যাদের যা কিছু ক্ষয়- ক্ষতি হবে সেই ভিত্তিতে তারা সরকার নিযুক্ত সংশ্লিষ্ট হরতাল বিভাগে প্রমাণসহ আবেদন করবে এবং যার যার পাওনা বুঝে নেবে। হরতাল কারিরা যেই দলেরই হোক, তখন বুঝতে পারবে, অন্যের বাক্তিগত সম্পদের মূল্য কত?!!! মানবাধিকার কি জিনিস, এইবার বুজছ?!!! - Maksuda

নীতিকথাঃ
আসলে হরতাল কোন দেশের জন্যই কাম্য নয়। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশের অধিকাংশ জনগন অনেক কষ্ট করে সুষ্ঠু একটা জীবন- যাপন করার চেষ্টা করে। হরতাল দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রাকে দারুনভাবে ব্যাহত করে। তাই যে উপায়েই হোক, হরতালকে না বলতে হবে। আমরা শুধুমাত্র একটা উপায় দেখালাম, যা প্রয়োগ করলে ভবিষ্যতে হরতাল বন্ধ হবার সুযোগ রয়েছে। 

Categories: Share

aas