Background

Background

Lights of BANGLADESH

  • image1
  • image2
  • image3
  • image4
  • image2
  • image1
  • image4
  • image3
প্রতিদিন খবরের কাগজে দুর্ঘটনার নানাবিধ সংবাদ আমাদেরকে মর্মাহত করে।  দুর্ঘটনা কারো জীবনেই প্রত্যাশিত নয়। বাংলাদেশের পথে-প্রান্তরে এবং ঘরে-বাইরে যে সমস্ত দুর্ঘটনা ঘটে  থাকে, সেগুলির পেছনে কারন খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ত্রুটি অনেকাংশেই সংশ্লিষ্ট  কতৃপক্ষের।  অথচ এই সমস্ত ঘটনা ঘটার পর মানুষের জীবনে যে  অবস্থা্র  সৃষ্টি হয়, তার যন্ত্রনা কাতর বোঝা তাকে ঠি্কই সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হয়। কেউ কেউ একে নিয়তি বলি, আবার কেউ বা বলি  কর্মের ফল। একবার বসে ভাবা  উচিত, ব্যপারটা আসলে কি!? যাই হোক, গত দুই দিনে বংলাদশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার  কয়েকটি চিত্র নীচে তুলে ধরা হলো, যেগুলি  দেখলে বিবেকের দংশনে কষ্ট আর আফসোস ছাড়া কিছুই হয়নাঃ 

টমটম ও ট্রাকের ধাক্কায় দুই শিশুসহ তিনজন নিহতঃ



কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় টমটমের চাপায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল সোমবার উপজেলার উত্তর কান্দাইল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দিন নেত্রকোনা সদর উপজেলায় ট্রাকের চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। করিমগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু হীরামণি (৫) উপজেলার সিংগুয়া গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ও আশামণি (৬) কালিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। শিশু দুটি সম্পর্কে খালাতো বোন। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কালিপুর গ্রাম থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উত্তর কান্দাইল গ্রামে নানাবাড়ি যাচ্ছিল। বিকেল চারটার দিকে তাদের অটোরিকশাটি উত্তর কান্দাইল গ্রামে পৌঁছায়। অটোরিকশা থেকে নামার পর একটি টমটম এসে তাদের চাপা দিয়ে পাশের ধান খেতে উল্টে পড়ে। গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তারা মারা যায়। নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের চল্লিশা বাজারে গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আশিষ কুমার সাহা (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।



সিএনজি স্টেশনে বিস্ফোরণ, নিহত ১  

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বরঙ্গাইল এলাকার একটি সিএনজি স্টেশনের কমপ্রেশার বিস্ফোরণে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দগ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ছয়জন। আজ সোমবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তির নাম হেলাল উদ্দিন (৫০)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। আহত ব্যক্তিরা হলেন মো. পাখি (৪০), মো. সালাউদ্দিন (৩৫), আশরাত আলী (৪৩), দেলোয়ার হোসেন (৪০), মাসুম হোসেন (৪৮) ও লেবু মিয়া। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই সিএনজি স্টেশনের কর্মচারী বলে জানা গেছে।
 

 
পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, নিহত ১

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর এলাকার মেগা ইয়াং ডায়িং নামে একটি পোশাক তৈরি কারখানায় গতকাল রোববার অগ্নিকাণ্ডে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ পাঁচজন।
ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ওই কারখানার চারতলার সুতার গুদামে রোববার ভোরে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে তা আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর, সাভারের ইপিজেড, টঙ্গীসহ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর সকাল নয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 



ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল ভাইবোনেরঃ

সাতক্ষীরায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভাই-বোন নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল জলিলের ছেলে মেহেদী হাসান তামিম (১৯) ও মেয়ে সাতক্ষীরা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী তৌফিকা জাহান রুহিনা (১১)। মেহেদী এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়েছেন।

 

সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসে দুজনের মৃত্যুঃ

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে এক নির্মাণশ্রমিকসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়েছেন আরও দুজন। কাল সোমবার সকালে উপজেলার আলীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ফরহাদ (২৯) ও শাহাদাৎ হোসেন (২৮)। তাঁদের মধ্যে নির্মাণশ্রমিক ফরহাদের বাড়ি উপজেলার মদনগঞ্জ সোহেলবাড়ির ঘাটে ও শাহাদাতের বাড়ি আলীনগরে। অসুস্থ দুজন হলেন নির্মাণশ্রমিক সুমন মিয়া (৩৮) ও নাজিম (৪৫)। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, সকাল নয়টার দিকে আবদুল মালেক মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নামেন নির্মাণশ্রমিক ফরহাদ ও সুমন মিয়া। তাঁদের সঙ্গে আবদুল মালেকের ছেলে নাজিম ও আত্মীয় শাহাদৎও নামেন। বিষাক্ত গ্যাসে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শাহাদাৎ ও নির্মাণশ্রমিক ফরহাদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অসুস্থ সুমন মিয়া ও নাজিমকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওসি নজরুল আরও জানান, নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। সেপটিক ট্যাংকের বিষাক্ত গ্যাস থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

 

 বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহতঃ 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের শেখপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. রিফাত (১৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। কাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই দুর্ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রথমে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। নিহত রিফাত উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের কেদারখীল গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে।



 গলাচিপায় মালবোঝাই ট্রলারডুবিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি লঞ্চঘাটের কাছে আগুনমুখা মোহনায় গতকাল রোববার সকালে একটি মালবাহী ট্রলার ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির মাঝি গলাচিপার বড়চরকাজল ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ইয়ামিন পালোয়ান জানান, তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মালামাল নিয়ে গতকাল সকাল সাতটায় গলাচিপার আড়তপট্টি এলাকা থেকে চরকাজল-চরবিশ্বাসের উদ্দেশে রওনা হন। আটটার দিকে ট্রলারটি উপজেলার পানপট্টি লঞ্চঘাটের কাছে কাজল নদের আগুনমুখা মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারটির আটজন যাত্রী এবং তিনজন মাঝি সাঁতরে ঘাটে উঠতে সক্ষম হন। 

রাজধানীতে পৃথক ট্রেন দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু:

রাজধানী ঢাকায় আজ মঙ্গলবার পৃথক দুটি ট্রেন দুর্ঘটনায় বেলায়েত হোসেন (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী ও অজ্ঞাতপরিচয় (আনুমানিক ৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা তিনটার দিকে বাসাবো এলাকার রেললাইনে আহত অবস্থায় পড়ে থাকেন বেলায়েত হোসেন। তাঁর দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ঘটনাস্থল থেকে বেলায়েত হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী মো. আবু শাহজাহানসহ আরও কয়েকজন। বিকেল চারটার দিকে বেলায়েতকে চিকিত্সকেরা মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনানী রেলগেটের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। লাশটি উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কমলাপুর রেলস্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদ। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ওই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। তবে তিনি হিন্দুধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন।

 


গবেষণায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণঃ চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দক্ষতারঅভাবঃ 
 
এক গবেষণায় সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে মূলত চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, দক্ষতার অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, রাস্তার নকশায় ত্রুটি, ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ, সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করা হয়েছে। সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। ব্র্যাক আয়োজিত এ সভায় পিপিআরসি ও ব্র্যাকের যৌথ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণার ফলাফলে জানানো হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে চার হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় পাঁচ হাজার আহত হন। হতাহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই গ্রামের কর্মক্ষম মানুষ।

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন ব্র্যাকের নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান মোল্যাসহ যানবাহন মালিক ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। ফলাফল থেকে জানা যায়, দেশে ২১ হাজার ৬৩৫ কিলোমিটার জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়ক রয়েছে। এসব সড়কে ২০১১ ও ২০১২ সালে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন তিন হাজার ১৩২ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে ও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মারা যান আরও দুই হাজার ৩০ জন। এভাবে বছরে গড়ে চার হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় পাঁচ হাজার আহত হচ্ছেন। বেশির ভাগ দুর্ঘটনাই ঘটে দেশের নয়টি জাতীয় মহাসড়কের ৫৭ কিলোমিটার অংশে।

গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন শেষে মশিউর রহমান বলেন, সড়কে যানবাহন চলাচল ও পরিবহন বিষয়ে দেশে কোনো সমন্বিত আইন নেই। রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাফিক অ্যাক্ট, ২০১১ নামে একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করা হলেও তা অনুমোদিত হয়নি। ইউএনও বলেন, ‘দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মারা যান কর্মক্ষম মানুষ। এটা আমাদের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে। জিডিপি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’



তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বংলাদেশ।
তারিখঃ ৩০-০৯-২০১৪
The five basic human needs are a list of essential factors that together build the foundation of a society. The list consists of exactly what the name suggests: extremely “basic” items that are the right of every human being, which need to be present before any real development can take place. 

Among them, “safety” is one such need; and there is a clear lack, as well as a lack of effort, of any kind of safety in Bangladesh. While safety from crime is something that has deteriorated to a point far beyond our control, we are focusing on other aspects of safety; what about the controllable safety measures within our reach that we can adopt in our everyday lives? The biggest challenge is the complete lack of awareness of safety in our society. At first we need to embrace the fact that safety is a human right, and we cannot deny ourselves or other citizens their safety. Our cities are so densely populated that an accident next door could harm us as well. For this reason, maintaining safety first is everyone's responsibility.

Safety at home

The practice of safety begins from the home, but does everyone really know of the dangers in the household? Breaking a few habits can reduce many risks. The first habit is how we deal with fire. Sometimes we literally pretend it does not exist; if you do a lot of cooking, you probably cannot count how many times you've left the fire burning at the stove. Since smoke alarms do not exist in Bangladeshi households, there is no way to know if something is wrong in your unattended kitchen until it's too late. Our beautiful saris and the elaborate long kameezes that are in vogue with the bell bottom sleeves and the chiffon scarves are the worst outfits to wear when you are cooking; they catch fire very easily. Another bad habit to break is hanging clothes in the kitchen to dry with the stove on when it's raining outside. You are just one light breeze away from a piece of clothing dropping on the open fire and causing a crisis.

A concept that is still alien to us is that of “child-proofing” the house. In many countries, when a child is born in a household, especially when she reaches her toddler years, parents install a lot of contraptions to ensure the safety of the toddler. For example, a childproof gate on top of the stairs so that she won't fall; or locks on cupboards and drawers that she could possibly reach, like those under kitchen counters. What do we do when there's a toddler in the household? We hire a maid and dump all the responsibility on her shoulders. Don't be passive about your child's safety; stay proactive and install safety measures in the house. And in case something does happen, do you know how to treat a burn? If you drop hot water or a cup of tea on your lap and your pants get stuck to your skin, what do you do? How is a first degree burn different from a third degree burn, and how do you immediately treat it? Ask these questions, because you never know when you might need to know the answer.
 

Workplace safety
Your workplace is where you spend most of your waking hours every day and unlike your home, your office, especially if you consider the building as a whole, might have a large group of people. The safe handling of electronics is the first priority at work. When you leave your office, turn off all the power switches on your computer. This also applies to the home as well. In a country with frequent power outage, we tend to forget that when it comes back on, there is a surge of power rushing through the wires that might fluctuate and burst, causing a fire if the fuse isn't working. Unattended, this kind of incident could have staggering effects, especially in offices because no one will be present to handle it after a certain time of the day.

There are extensive occupational health and safety standards manuals and even longer training programmes provided to staff in many countries. If your workplace is one where there is a lot of manual labour, you should be aware that there is a proper way to lift heavy objects without straining your back. There are also some stretches that can be done by employees who work at their computers all day. Research these basic standards and put up the diagrams that depict the simple postures in the tea corner at work; this simple gesture can significantly reduce a lot of irreversible back injuries. Observe your office building to see if fire exits are clearly marked, and most importantly, usable and not locked from the outside. Are there fire extinguishers on every floor, and do you know how to use them? Are there regular fire drills?  

Safety is everyone's responsibility
Pointing fingers is easy, but ensuring safety for all can never start with just one person. You've got a role to play as much as anyone else. Is your family aware of all the basic safety issues in the household? Does your workplace have a fire safety strategy enforced? If you are a teacher, you need to start a special class in your school that teaches your students about safety and how to treat burns and injuries. If you play a management role at your office, it's time to do a random fire drill. If you're a concerned family member, you need to let the rest of your family, including the helping hands, know about all the things that could go wrong so they are extra careful.
 
And finally, if you believe yourself to be a concerned citizen, you will take some time out of your busy Facebook stalking schedule to look up all the issues mentioned above on the Internet. Let's stop making safety second, third, fourth, and sometimes even the last, thing on our mind.




By Mehereen Aziz
Source: The Daily Star, Bangladesh.
তীব্র দাবদাহে সারা দেশের মতোই হাঁসফাঁস করছে রাজধানীবাসী। এমন পরিস্থিতিতে নগরের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় ওয়াসার পানির পাম্প বন্ধ থাকায় কয়েক দিন ধরে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পাম্প বন্ধ রাখার কারণ হিসেবে বিদ্যুতের সমস্যার কথা উল্লেখ করে ওয়াসা বলছে, বিদ্যুতের সমস্যা আরও তীব্র হলে সব জেনারেটর ব্যবহার করা হবে। একই সঙ্গে ওয়াসার কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, রাজধানীতে পানির সংকট নেই। এটি সাময়িক সমস্যা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ওয়াসার গতকাল মঙ্গলবারের দৈনিক প্রতিবেদনেই প্রায় ২০ কোটি লিটার পানি কম উৎপাদিত হওয়ার তথ্য রয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে গতকাল ওয়াসার ৬৭০টি গভীর নলকূপের মধ্যে ২৩৪টিই বেশির ভাগ সময় বন্ধ ছিল। ‘বিদ্যুৎবিভ্রাটের জন্য’ পানির পাম্পে ৫৩৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল পানি উৎপাদন করার কথা ছিল ২৪৯ কোটি ৩৬ লাখ লিটার। এর মধ্যে উৎপাদন সম্ভব হয়েছে ২২৯ কোটি ৩৫ লাখ লিটার। ওয়াসার তথ্যমতে, সাধারণভাবে রাজধানীতে দৈনিক পানির চাহিদা ২২৫ কোটি লিটার এবং উৎপাদনক্ষমতা ২৪২ কোটি লিটার। গরমের সময় চাহিদা ও উৎপাদন দুটিই বাড়ে।  ওয়াসার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে লো-ভোল্টেজ, হাই ভোল্টেজ এবং লোডশেডিংয়ের কারণে গভীর নলকূপের অনেক পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ ওয়াসার বেশির ভাগ পাম্পেই জেনারেটর রয়েছে। এগুলোর জন্য নিয়মিত তেল খরচের হিসাবও দেওয়া হয়।
 
ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ ডি এম কামরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা আরও তীব্র হলে সব জেনারেটর ব্যবহার করা হবে। তিনি দাবি করেন, শীতলক্ষ্যা নদীর পানির স্তর নেমে গিয়ে দূষণ বেড়ে যাওয়ায় সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারে উৎপাদনে সমস্যা হচ্ছে। গরমের কারণে পানির ব্যবহারও বেড়ে গেছে। পানির সমস্যা কমানোর জন্য পুরো জনবল কাজে লাগানো হচ্ছে বলে দাবি করেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক।
 
পানির কষ্ট, ভোগান্তি: গতকাল মগবাজার পাগলা মাজার গলির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা পানির দাবিতে খোদ ওয়াসা ভবনে এসে হাজির হন। তাঁরা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে না পেয়ে অন্য কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রথম আলোকে তাঁদের কয়েকজন বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে নয়াটোলা গভীর নলকূপ বন্ধ।
 
নগরের গোপীবাগ বালুর মাঠ এলাকায় ওয়াসার পাম্প হাউসের সামনে গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার সময়ও পানি সংগ্রহের জন্য বিশাল লাইন দেখা যায়। গোপীবাগ, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, অভয় দাস লেন, পেয়াদাপাড়াসহ আশপাশের এলাকায় পানির চরম সংকটের কারণেই এই ভিড়। গোপীবাগের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন জানান, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পানির জন্য অপেক্ষা করছেন। এখনো তাঁর সামনে অন্তত ১০০টি বালতি, কলসি বা জ্যারিকেন রয়েছে।  মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদী হাউজিং লিমিটেড এলাকায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানির তীব্র সংকট চলছে। এলাকার গৃহিণী কানিজ বাতুলসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তিন-চার দিন ধরে দিনে দুই ঘণ্টাও পানি থাকছে না। সমস্যা নিরসনে এলাকার বাড়িওয়ালারা ওয়াসার আঞ্চলিক কার্যালয়ে গেলেও কোনো কাজ হয়নি।

বাড্ডার ভাটারা এলাকায় চার দিন ধরে পানির সমস্যা। পানির কষ্টে আছেন এলাকার প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা। একই সমস্যা তেজগাঁও তেজকুনী পাড়া, মিরপুর ১, ২, ৫, ১০, ১২, ১৩, ১৪ নম্বর সেকশন, বড়বাগ, মধ্য পীরেরবাগ, মনিপুর, সেনপাড়া পর্বতা, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কল্যাণপুর, ইব্রাহিমপুর, কাফরুল, পুরান ঢাকার বেশির ভাগ এলাকা, কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগ, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোড, সলিমুল্লাহ রোড, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি এলাকায়। অনেক জায়গায় ময়লা ও দুর্গন্ধের কারণে পানি থাকলেও ব্যবহার করা যায় না।
এ অবস্থায় পানির গাড়ির জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওয়াসার আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভিড় করছেন ভুক্তভোগীরা। বেশির ভাগই ব্যর্থ হচ্ছেন। লালমাটিয়া এলাকার বাসিন্দা মহসীন আশরাফ বলেন, রোববার ‘সিরিয়াল’ দিয়ে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি পাননি। ঢাকা ওয়াসার পানিবাহী গাড়ির সংখ্যা ৪০টি। কিন্তু ওয়াসার গতকালের হিসাব থেকে দেখা যায়, নগরের ২৯৪টি এলাকা থেকে গাড়িতে পানি সরবরাহ চেয়েছে লোকজন। দেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র ১৬০টি বাড়িতে।

তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বাংলা্দেশ।
আট বছরের শিশু সাইদ কাজ করে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে একটি বেলুন তৈরির কারখানায়। বাবা ময়লার ভ্যানচালক। মা বাসাবাড়িতে কাজ করেন। সাইদ সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাজ করার পর বড় ভাইয়ের সঙ্গে রাতে বাড়ি ফেরে। এত পরিশ্রমের পর সপ্তাহে জোটে মাত্র ৩০০ টাকা। অর্থাৎ মাসে এক হাজার ২০০ টাকা। সাজেদের বড় ভাই মো. রিটু (১৬) পাশের আরেকটি বেলুন তৈরির কারখানায় কাজ করে। বয়সে বড়, তাই শরীরে শক্তিও বেশি আর কাজেও দক্ষ বলে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ টাকা করে পায় জানায়। সাইদ বলে, ‘মজুরি কম হইলে কি আর করতাম। যা দেয় তাতেই খুশি। আর কাম না করলে তো না খাই থাকন লাগে।’ ময়না (১২) গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে রাজধানীর আজিমপুরের একটি বাড়িতে। ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া, ঘরবাড়ি গোছানো, থালাবাসন ধোয়া, বাচ্চা দেখাশোনা—এসব কাজ তাকে করতে হয়। মাস শেষে তাকে দেওয়া হয় এক হাজার টাকা। বেতন বাড়াতে বললে গৃহকর্ত্রী বলেন, ‘তোর খাওয়া আর জামা-কাপড়ের পেছনে অনেক টাকা যায়। এর বেশি দেওয়া সম্ভব নয়।’ তবে লাইলির অবস্থা আরও খারাপ। শান্তিবাগের একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিল আট মাস আগে। এই আট মাসে তাকে কোনো বেতন দেওয়া হয়নি।

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাড়িতে কাজ করে ফরিদ (৮)। গৃহকর্তার ছেলে জিসানের (ছদ্মনাম) স্কুলের ব্যাগ বহন করা তার প্রধান কাজ। স্কুল শেষে জিসানের সঙ্গে সে হেঁটেই বাড়ি ফেরে। প্রায় একই বয়সের দুই শিশু একজন ব্যাগ টানার কাজ করে, আর অন্যজন স্কুল থেকে আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় ফেরে। জিসানের যখন স্কুল চলছিল, তখন কথা হয় ফরিদের সঙ্গে। সে জানায়, কাজ করে মাসে ৫০০ টাকা পায় সে। দুই বেলা খেতে দেয়। সকালে স্কুলে চলে আসে। তাই একবারে দুপুরে খায়, সকালে আর খাওয়া হয় না তার। স্কুলে যাতায়াত করা ছাড়াও ফরিদকে প্রতিদিন ময়লা ফেলা, ঘর মোছাসহ বিভিন্ন কাজ করতে হয়। ফরিদ বলে, ‘টেকার জন্যি বাবা-মায়ে কামে পাডাইছে। সেই টেকাই পাই না।’
 
হিরণ মিয়া লেগুনায় হেলপারের কাজ করে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা বসিলায় রিকশা চালান। বাবার ইচ্ছায় স্কুলে না গিয়ে সে কাজে এসেছে। বেতন কত জিজ্ঞেস করতেই হিরণ বলে, ‘বেতন কী আফা?’ প্রতি ট্রিপে ২০ টাকা করে দেয়। আবার যাত্রী বেশি না হলে তা-ও পায় না কখনো। হিরণ বলে, ‘এসব টাকায় সংসার চলবার চায় না। কিন্তু কী করুম। এই কাম না করলে তো আরও বিপদ। খামু কী।’ হিরণ জানায়, একবার লেগুনার হ্যান্ডেল থেকে হাত ফসকে পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিল। তখন দুই মাস পঙ্গু হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল তাকে। রাজধানী কারওয়ান বাজারের একটি দোকানে কাজ করে ১০ বছরের শিশু শিপন। মাস শেষে সে পায় ৮০০ টাকা। সারা দিন কাজ করলেও মালিক তাকে কোনো বেলায়ই খেতে দেন না। শিপন বলে, ‘সংসারে যাতে টেকা দিবার পারি, হের লাইগ্যা এইহানে কাম করতে আইছি। কিন্তু যে বেতন পাই, এই দিয়া তো ঠিকমতো খাওনই জুডে না।’

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) চেয়ারপারসন এমরানুল হক চৌধুরী বলেন, শিশুরা ভোটার নয়, তাই শিশুদের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর খুব একটা মাথাব্যথা নেই। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার হলেও তাদের উন্নয়ন নিয়ে কেউ খুব একটা চিন্তিত নয়। কিন্তু এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ১৪ বছরের নিচে বয়স, এমন শিশুদের শ্রমে নিয়োগ দেওয়া নিষিদ্ধ হলেও অনেকে এ বিষয়ে জানে না। আবার জানলেও তারা শ্রমিক হিসেবে শিশুদের নিয়োগ দিতেই পছন্দ করে। এ ব্যাপারে সরকারকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। শিশুশ্রমিকেরা যাতে যথাযথ মজুরি পায়, সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
- সাবিনা ইয়াসমিন 

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুরা

আবদুর রহিমের বয়স ১০ বছর। সে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের পাশে একটি লেদ কারখানায় কাজ করে। মলিন মুখ, শরীরের এখানে-সেখানে কালিমাখা, হাতে কাটাছেঁড়ার দাগ আর ধুলামাখা চুল তার। রংচটা পোশাকেও অনেক দাগ লেগে আছে। ১৮ মার্চ রাত ১০টায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে যখন রহিমের কথা হয় তখন সে কারখানার সারা দিনের জমে থাকা ময়লা ঝাড়ু দিচ্ছিল। রহিম জানায়, সকাল নয়টায় কারখানায় এসেছে। রাত ১১টায় কারখানা বন্ধ হলে তবেই ঘরে ফিরবে। এভাবেই এক বছর ধরে এ কারখানায় কাজ করছে। সারা দিন লোহা কাটার জন্য হাতুড়ি পেটানো, ভারী লোহার যন্ত্র আনা-নেওয়া, লোহা কাটা, মেশিন মেরামতসহ নানা ধরনের কাজ করতে হয় তাকে। এ কাজ করতে গিয়ে অনেকবার তার হাত কেটে গিয়েছে। হাতে ব্যথাও পেয়েছে অনেকবার। এ ছাড়া কারখানার কাজের পাশাপাশি মালিকের ফরমাশও মেনে চলতে হয় তাকে।

ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কে একটি ওয়ার্কশপে কাজ করে মহিন মিয়া (১২)। এখানে লোহা ঝালাইয়ের কাজ করে সে। প্রতিরোধক হিসেবে চশমা ব্যবহারের কথা থাকলেও শিশুটির চোখে তা নেই। হাজারীবাগের চামড়া কারখানার বর্জ্য যেখানে গিয়ে পড়েছে, সেখানে টুকরা টুকরা চামড়া কুড়ানোর কাজ করে ১১ বছরের হিরণ। রাসায়নিকমাখা বর্জ্য থেকে সে চামড়া কুড়িয়ে তা শুকানোর পরে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করে। এ ছাড়া পশুর শিং, হাড়ও কুড়ায় সে। হিরণ জানায়, এ কাজ করতে তার ভালো লাগে না। বাধ্য হয়ে করে। বাবা পঙ্গু, কাজ করতে পারে না। মা পরের বাড়িতে কাজ করে। সংসারে আরও ছোট দুই বোন আছে তার। সবার কথা চিন্তা করেই সে কাজে নেমেছে।

জিগাতলা থেকে ফার্মগেটে যাওয়া হিউম্যান হলারে হেলপারের কাজ করে ফিরোজ (১২)। প্রতিদিন ঝুলতে ঝুলতে সে কাজ করে। কয়েক দিন আগে সে হলার থেকে পড়ে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা পায়। ফিরোজ বলে, ‘যাত্রী উডানোর পর আমারে ছাড়াই গাড়ি রওনা দেয়। দৌড় দিয়া গাড়িতে উঠছি ঠিকই, কিন্তু তাল সামলাতে না পাইরা পইড়া যাই। এরপর সাত দিন কামে আইতে পারি নাই, হেই সাত দিনের বেতন কাডা গেছে।’ নয় বছরের শিশু নাজমা কাজ করে রাজধানীর মালিবাগের একটি বাড়িতে। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘর মোছা, কাপড় ধোয়া সবই করতে হয় তাকে। এক দিন ভাতের ফ্যান গলাতে গিয়ে গরম ফ্যান হাতে পড়ে। এতে তার হাত পুড়ে যায়। আরেক দিন বাসায় পানি ছিল না। নিচে রিজার্ভ ট্যাংক থেকে বালতি ভর্তি করে পানি নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় নাজমা বালতিসহ পড়ে যায়। এতে তার পা মচকে যায়।

দেশে বিদ্যমান শিশু আইনে শিশুদের দিয়ে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনি। সরকার ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ১৮২ নম্বর সনদে স্বাক্ষর করে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বহু শিশু ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত। এসব কাজ করতে গিয়ে শিশুরা নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে নানা রোগব্যাধিরও শিকার হচ্ছে। তাদের মানসিক বিকাশও ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ঠিক কত শিশু কাজ করে, এ ধরনের কোনো পরিসংখ্যান জানে না শ্রম মন্ত্রণালয়। এমনকি কী কী ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে তারও সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা নেই তাদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে বর্তমান কোনো পরিসংখ্যান নেই।’ তিনি জানান, কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে তাঁর সুনির্দিষ্ট তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নেই, তবে এ বিষয়ে আমাদের ধারণা আছে। তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে শিশুদের ফিরিয়ে আনতে সরকার একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে। এর আওতায় ৫০ হাজার শিশুকে এসব কাজ থেকে ফিরে এনে শিক্ষা, ভাতা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এটি বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে চলছে। শিগগিরই চতুর্থ পর্যায়ে বর্ধিত করা হবে।

দীর্ঘদিন ধরে দেশে এবং বিদেশে মানবদেহে ঢুকে পড়া ক্রোমিয়ামের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবুল হোসেন। তিনি জানান, চামড়াশিল্পে ব্যবহূত রাসায়নিক মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। চামড়া শিল্পগুলোতে পশুর চামড়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রচুর ক্রোমিয়াম ব্যবহূত হয়। ট্যানারি শিল্পে শিশুরা যেভাবে খালি গায়ে ও খালি হাতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে, তাতে এ রাসায়নিক প্রবেশ করে তাদের ফুসফুসে ও চামড়ায় ক্যানসার হতে পারে। এ ছাড়া নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে।
 
এ প্রসঙ্গে বারডেম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান তাহমিনা বেগম বলেন, প্রতিরোধক ছাড়া ঝালাই কারখানায় কাজ করার কারণে শিশুরা অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারায়। বিভিন্ন স্থানে সঠিক কর্মপরিবেশের অভাবে শিশুরা ময়লা হাতেই খাবার খায়। এতে শিশুদের নানা ধরনের পেটের অসুখ হয়ে থাকে। যেসব শিশু বাসাবাড়িতে কাজ করে তাদের দিয়ে ভারী বালতি টানা, কাপড় ধোয়ার মতো কঠিন কাজ করানো হয়। এতে মেরুদণ্ডে ক্ষতি হয়। আর বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে শিশুরা যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়, তাতে করে তারা মানসিকভাবে প্রচণ্ড ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এতে তাদের মানসিক বিকাশও ব্যাহত হয়।




তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বংলাদেশ।
মোবারক হোসেনকে এখন আর কেউ ‘পাগল’ বলে না। তাঁর চকলেট পাঠশালাটি নিয়েও মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। বহু দূরের মানুষজনও আসে চকলেট পাঠশালার গল্পটি জানতে। মোবারক হোসেন এখন সবার প্রিয় চকলেট স্যার। যাঁকে পরিচিতজনেরা চেনেন ‘হূদয়’ নামেই। হূদয় জন্মেছেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি ইউনিয়নের কান্দিগ্রামে। এই গ্রামের হাজার দুই লোকজন অধিকাংশই নিজের নাম লিখতে পারে না। হূদয় গ্রামের মানুষকে আলোর পথ দেখানোর দায়িত্ব নেন। সেই স্বপ্নযাত্রা শুরু হয় সাত বছর আগে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ২৫ জন শিশুকে নিয়ে নিজ বাড়ির গাছতলায় চট বিছিয়ে শুরু হয় তাঁর অক্ষরবিদ্যার কার্যক্রম। চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড, পরীক্ষা—সবই হয় আর সব বিদ্যালয়ের মতোই। তবে পার্থক্য, শিক্ষক একজন, বিদ্যালয়ের ভবন নেই এবং সবচেয়ে বড় পার্থক্য, তিনি তাঁর কাজের জন্য আর্থিক বিনিময় গ্রহণ করেন না।

শুরুতে শিক্ষার্থী কম থাকলেও হূদয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ বড় সুফল নিয়ে আসে। সপ্তাহে এক দিন তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করেন। এখন তাঁর পাঠশালার শিক্ষার্থী ১০০ ছাড়িয়েছে। আর এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি প্রিয় শিক্ষার্থী আর গ্রামবাসীর কাছে হয়ে উঠেছেন ‘চকলেট স্যার’।  ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর বিশাল বাংলায় ‘হূদয়ের চকলেট পাঠশালা’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর পাঠশালাটি নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের আগ্রহ বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিনিধিদল এসে পাঠশালাটি দেখে যায়। বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাঙালিরা ই-মেইল ও চিঠির মাধ্যমে হূদয়কে অভিনন্দন জানান। স্থানীয় শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে হূদয়কে নানাভাবে সম্মানিত করা হয়। সেই সঙ্গে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে হূদয়ের চকলেট পাঠশালায়। ফলে, পাঠশালাটির অবকাঠামোয় আসে পরিবর্তন। গাছতলা থেকে শিক্ষার্থীরা উঠে আসে ছাপরাঘরে।
 
২০ মার্চ সরেজমিন পাঠশালায় গিয়ে দেখা যায়, ছাপরাঘরটির চট বিছানো মেঝেতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে হূদয় যথারীতি আপন মনে পড়াচ্ছিলেন, ‘অ-তে অজগর, আ-তে আম...’। তাল ও ছন্দে শিশুরা স্যারকে অনুসরণ করে শেখার চেষ্টা করছে। এই পাঠশালায় কতটা ভালো পাঠদান হয়, তার প্রমাণ দিল শিক্ষার্থীরা নিজেই। হিরামনি নামের ছোট্ট মেয়েটি এক বারে এক থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত নির্ভুল গণনা করল। ছোট্ট ফাহিম শোনাল এ, বি, সি, ডি। পাঠদানের পাশাপাশি স্বল্প পরিসরে বিনোদন ও সাংস্কৃতিক চর্চাও হয় এখানে। অক্ষরবিদ্যা বিলিয়ে হূদয় কোনো পারিশ্রমিক পান না; বরং মাস শেষে তাঁকে অন্তত ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার জোগাড় রাখতে হয়। আয়ের উৎস হিসাবে বেছে নিয়েছেন প্রাইভেট পড়ানোর কাজ। বেশি অর্থসংকটে পড়লে এখনো কিছুদিনের জন্য জুতার শ্রমিকের খাতায় নাম লেখাতে হয় তাঁকে।

পাঠশালায় সরকারি ছুটি ও অসুস্থতাজনিত সমস্যা ছাড়া সপ্তাহে পাঁচ দিন ক্লাস হয়। অক্ষরজ্ঞান দেওয়ার পর হূদয় তাঁর দায়িত্ব থেকে সরে আসেন না। পরে অভিভাবকদের বুঝিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করান শিশুদের। হূদয়ের দেওয়া হিসাবমতে, সাত বছরে তাঁর পাঠশালার পাঠ শেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। হূদয়ের মা নাহুদা খাতুন বলেন, ‘পাঠশালা শুরুর দিকে গ্রামের মানুষ হূদয়কে ‘‘পাগল’’ বলত। এখন আর আমার ছেলেকে কেউ পাগল বলে না। উল্টো সম্মান করে।’

 
সাইফুল হক মোল্লা ও সুমন মোল্লা কিশোরগঞ্জ
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বাংলাদেশ। 
মূল রচনা: হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করে ঘুরেছেন বিশ্বের ১৯টি দেশ। বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিয়েছেন প্রতিবন্ধীদের জন্য তহবিল গঠনের প্রস্তাব। পড়ুন নাটোরের প্রতিবন্ধী যুবক মো. মহরম আলীর বাধা পেরোনোর অসামান্য গল্প 

তখন সবে দেড় বছর বয়স তার। একটু-আধটু কথা বলা শুরু করেছে মাত্র। হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে হাঁটতেও শিখেছে খানিকটা। এটুকু বয়সেই তাকে নামতে হলো নিজেকে সচল রাখার যুদ্ধে। পোলিও নামের কঠিন ব্যাধি থাবা মারল মহরম আলী নামের এই ছোট্ট শিশুর জীবনে। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো পোলিওর সঙ্গে যোগ হয়
হাতুড়ে কবিরাজের চিকিৎসা। ফলাফল, সে যাত্রায় পুরোপুরি পঙ্গুত্ব বরণ করে নিতে হয় নায়ক মহরম আলীকে। প্রশ্ন জাগতেই পারে, যে ছেলে গত ২৬ বছর হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারে না, যে ছেলের জগৎ ছিল নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ, সে আবার নায়ক হয় কী করে! হ্যাঁ, মহরম আলী সত্যিকারের অর্থেই ব্যতিক্রমী এক নায়ক।
হুইলচেয়ারকে সঙ্গী করেই তিনি পৌঁছে গেছেন বিশ্বের ১৯টি দেশে। পাড়ি দিয়েছেন তিনটি মহাদেশ। নাড়া দিয়েছেন বিশ্বনেতাদের। মনে হচ্ছে অসম্ভব? এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন নাটোরের প্রতিবন্ধী যুবক মো. মহরম আলী।

 
শুরুর গল্প
২০১০ সাল। শারীরিক প্রতিবন্ধী মহরম আলী তখন সিআরপিতে (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড) কর্মরত। ওই সময় একটা ঘটনা তাঁর মনে দাগ কাটে। মেক্সিকোর কানকুনে জলবায়ু সম্মেলন হচ্ছে। জলবায়ু নিয়ে বিশ্বনেতাদের আগাম চিন্তাভাবনা চমকিত করে তাঁকে। চাইলে প্রতিবন্ধীদের জন্যও এ রকম সম্মেলন বা তহবিল গঠন করা সম্ভব বলে মনে হতে থাকে তাঁর।
‘পৃথিবীতে এত এত প্রতিবন্ধী মানুষ অথচ তাঁদের জন্য কেউ এভাবে ফান্ড গঠন করার চিন্তা করে না। অথচ চাইলেই কিন্তু প্রতিবন্ধীদের সহজেই কাজে লাগানো যায়। স্বাভাবিক মানুষের মতোই কর্মদক্ষ করা যায়! সে বিষয়টা খুব কম লোকই ভাবে’—বলছিলেন মহরম আলী। এই চিন্তা থেকেই উদ্যোগটা নেন তিনি। তাঁর উদ্যোগের নাম দেন ‘ওয়ার্ল্ড ডিজঅ্যাবিলিটি ফান্ড’। সহজ ভাষায়, সারা বিশ্বের প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য একটি কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক তহবিল তৈরি করা। মহরম আলীর ভাষ্যমতে, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘসহ সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে অনেক ধরনের তহবিল রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর সব রাষ্ট্র বা সরকারের মিলিত (অল স্টেট ইনিশিয়েটিভ) কোনো কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক তহবিল নেই। এই চিন্তা থেকেই তিনি সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তাঁর স্বপ্নের কথা বিশ্বনেতাদের জানানো প্রয়োজন মনে করেন তিনি।
কিন্তু একে তো উন্নয়নশীল দেশের প্রতিবন্ধী যুবক, তার ওপর পড়াশোনার দৌড়ও কম, তাই এমন চিন্তা আকাশকুসুমই মনে হচ্ছিল। পায়ের শক্তি কমে গেলে কী হবে, মহরমের মনের শক্তি যে তীব্র, সেটা বোঝা গেল অচিরেই। ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন তিনি। শুরুতে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিশ্বের কোথায় কোন সংগঠন কাজ করে, তার একটি তালিকা তৈরি করলেন। তারপর নিজের পরিকল্পনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখলেন। এমন চিন্তা কোনো সংগঠন বা দেশের নেই বললেই চলে। মহরম বলছিলেন, ‘শুরুতেই বুঝেছিলাম প্রতিবন্ধীদের নিয়ে আমার তহবিল গঠনের প্রস্তাবটি বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে হলে ব্যতিক্রমী কিছু করতে হবে। তখনই বিশ্বভ্রমণের কথা মাথায় আসে।’ কিন্তু...!

শত বাধা পেরিয়ে...
‘ধরুন, আমি পরিকল্পনা ঠিক করলাম। তাই বলে সমস্যা কিন্তু পালিয়ে গেল না! আমার পুরো ভ্রমণের অর্থায়ন নিয়ে মহাসমস্যায় পড়ি। অনেক বড় বড় ব্যাংক-বিমা, সেবাদাতা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে দিনের পর দিন গেছি। তারা সবাই আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু সহায়তা করেনি। অবশেষে এগিয়ে আসে কিছু বেসরকারি সংস্থা, বিদেশি কিছু প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা।’—বলছিলেন মহরম আলী। তবে তিনি আর্থিক বাধার চেয়ে বড় বিপাকে পড়েন ভিসা নিয়ে। নিজের চেষ্টায় সব সমস্যা বরাবরের মতোই উতরে যান মহরম। ‘আমার লক্ষ্য ছিল, যেকোনো মূল্যে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পৌঁছাব। আমি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে গেছি। ভ্রমণের সময় কখনো বাস, কখনো ট্রেন, কখনো জাহাজ ব্যবহার করেছি।’

 
শহীদ মিনার থেকে শুরু
২০১১ সালের ২৫ জুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন মহরম আলী। প্রথমে বাসে করে তিনি যান ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে থাকতে হয় ৩৪ দিন। ভারত থেকে সংগ্রহ করেন আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, শেনজেন ও কাজাখস্তানের ভিসা। তারপর তিনি যান নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে। সেখানে কাটান ছয় দিন। প্রয়োজনীয় অনুমতি সংগ্রহের পর তিনি যান কাজাখস্তান। তারপর পৌঁছান রাশিয়ার মস্কোয়। মস্কোয় ছিলেন ১৯ দিন। এর মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মস্কো, বাংলাদেশ প্রবাসী পরিষদ, অ্যাসোসিয়েশন অব ইউরোপিয়ান বিজনেস (এইবি) এবং আরও কিছু সংগঠনের সঙ্গে। তারপর তিনি ইউক্রেনিয়ান ট্রেনে করে যান ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। সেখানে বাংলাদেশি ছাত্রদের আমন্ত্রণে ভ্রমণ করেন অন্য দুটো বড় শহর। ১৫ দিন ইউক্রেনে কাটিয়ে ১ অক্টোবর ট্রেনে চেপে পোল্যান্ডে ঢোকেন। এক দিন পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে কাটিয়ে ওয়ারশ-বার্লিন এক্সপ্রেস ট্রেনে মহরম আলী জার্মানির রাজধানী বার্লিনে যান। সেখান থেকে যান ছোট্ট দেশ লিখটেনস্টেইনে। ৩৫ হাজার মানুষের ছোট্ট এই দেশে মহরম আলী কাটান ৪০ মিনিট। সেখান থেকে রেড বুল এনার্জি ড্রিংক কোম্পানির আমন্ত্রণে পৌঁছান অস্ট্রিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী সলসবুর্গে। কথা বলেন অস্ট্রিয়ান ন্যাশনাল হুইলচেয়ার বাস্কেটবল দল, রেড বুল অথোরিটি এবং রেড বুলের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান হাঙ্গার সেভেনের সদস্যদের সঙ্গে। তিনি আরও যান— সুইজারল্যান্ড ও ইতালিতে। এরই মধ্যে ২১ অক্টোবর জার্মানির প্রভাবশালী পত্রিকা স্পিগেল মহরম আলীকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর সুবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণের আমন্ত্রণ আসতে থাকে তাঁর কাছে। জার্মানির ছোট্ট শহর হফে প্রতিবন্ধীদের একটি স্কুলের আমন্ত্রণে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। মহরম কথা বলেন, তাঁর ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এবং ওয়ার্ল্ড ডিজঅ্যাবিলিটি ফান্ড নিয়ে। ১১ নভেম্বর মহরম আলী লন্ডনে পৌঁছান। তাঁকে লন্ডনে বরণ করে নেন তাঁর সাবেক সহকর্মী পাপ্পু লাল ও তাঁর সহপাঠীরা। ২৩ নভেম্বর এডিডি (অ্যাকশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) বাংলাদেশের দেশীয় পরিচালক মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন লন্ডনে। এডিডির আমন্ত্রণেই ২৯ নভেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনি অংশ নেন একটি আন্তর্জাতিক আলোচনায়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির ডেভিড ব্লাংকেটসহ ব্রিটেনের আরও অনেক সংসদ সদস্য। ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে তাঁর ওয়ার্ল্ড ডিজঅ্যাবিলিটি ফান্ড ধারণাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেন। তারপর দেশে ফেরেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর এই ভ্রমণের বিস্তারিত দেখা যাবে www.bezgraniz.ru ওয়েবসাইটে।

 
না, শুধু প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় তাঁর প্রাণের দাবিটি জাতিসংঘ অবধি পৌঁছে দিয়েই থামেননি মহরম। প্রতিবন্ধীদের পাশে থাকতেই নাটোরে গড়ে তুলেছেন ‘ইউনাইটেড অ্যাকশন’ নামের একটি সংস্থা। তাঁর সঙ্গী ৩২ জন সদস্যকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিবন্ধীদের জন্য। মহরম আলী বলছিলেন, ‘আমরা শুরুতে প্রতিবন্ধীদের পেশাদারি প্রশিক্ষণ এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার ওপর জোর দিচ্ছি। সামনে আমরা আরও বড় পরিসরে কাজ শুরু করব। শুরুতে উত্তরবঙ্গের প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করব। তারপর সারা দেশ। এর মধ্যে যদি ওয়ার্ল্ড ডিজঅ্যাবিলিটি ফান্ডের ধারণা নিয়ে কাজ শুরু হয়, তাহলে তো খুব ভালো। যা-ই ঘটুক প্রতিবন্ধীদের নিয়েই আমি কাজ করে যেতে চাই।’



 মো. রুবেল 
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো, বাংলাদেশ। 
 


তথ্যসূত্র : প্রথমআলো
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম (২৯) মাত্র চার বছর আগেও পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছে ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হঠাৎ করে হেরোইনে আসক্ত বন্ধুর পাল্লায় পড়ে পরিবার থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে নজরুল হেরোইনের টাকার জন্য অপরাধজনক কাজে জড়িয়ে পড়েন। গত ৩০ জুন জগন্নাথপুর বাজারে একটি চুরির ঘটনায় পুলিশ নজরুলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ পেয়ে তাঁকে খুঁজতে থাকেন। শুক্রবার রাতে পুলিশের ভয়ে পালাতে গিয়ে তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে তিনি মারা যান। 
নজরুলের বাবা ছরকুম উল্যা বলেন, ‘হেরোইন আমার ছেলেটিকে অকালে কেড়ে নিল। ছেলেটি নেশাগ্রস্ত হওয়ার আগে পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করত। ২০০৯ সালে রঙের কাজ করতে গিয়ে নজরুল এক হেরোইনসেবীর সঙ্গে মিশে আসক্ত হয়ে পড়ে। অনেক বুঝিয়ে তাকে এ পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আমরা তার আশা ছেড়ে দিই। শুক্রবার রাতে তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মোটরসাইকেলের শব্দ শুনে পুলিশ এসেছে মনে করে নজরুল দৌড় দিয়ে বাড়ির পাশের নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে নদী থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।’ 

নজরুলের প্রতিবেশী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নজরুল শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কিন্তু হেরোইনের নেশায় আসক্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত সে মারা গেল। এ নেশা থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষায় প্রশাসনের কঠোরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা দরকার।’

 

 

 

  

 Date: 07-07-2013

Source: Doinik Prothom Alo


At least 24 people died across Egypt on Friday as Islamists opposed to the overthrow of President Mohamed Morsi took to the streets to vent their fury at what they say was a military coup. Fierce clashes in the Mediterranean city of Alexandria left 12 dead and 200 injured, while in Cairo, five people were killed as pro- and anti-Morsi protesters ran amok in central areas and armored personnel carriers rumbled among them to restore calm.
Five police officers were gunned down in separate incidents in the North Sinai town of El Arish, and while it was not clear whether the attacks were linked to Morsi’s ouster, hardline Islamists there have warned they would fight back. Tens of thousands of people marched across the country in what Morsi’s Muslim Brotherhood movement called a “Friday of Rage” to demonstrate against his overthrow and the army-backed interim government being set up to prepare for new elections.

A new prime minister could be named as early as Saturday. Egypt’s first freely elected president was toppled on Wednesday, the latest twist in a tumultuous two years since the fall of Hosni Mubarak in the Arab Spring uprisings that swept the region in 2011. The events of the last week have aroused concern among Egypt’s allies in the West, including key donors the United States and the European Union, and in neighboring Israel, with which Egypt has had a US-backed peace treaty since 1979. Friday’s fatalities added to the dozens of deaths in a month of unrest. Last Sunday, huge rallies in Cairo and other cities called for Morsi’s resignation, venting anger over economic stagnation and perceptions of a Brotherhood power grab.
His overthrow was greeted with wild scenes of celebration but infuriated supporters who fear a return to the suppression of Islamists they endured under generations of military rule.

It has deepened Egypt’s crisis. With its supporters enraged by Morsi’s removal from power, the Brotherhood says it wants nothing to do with what the army has billed as an inclusive transition plan, culminating in fresh elections. The military has given scarce details – its road map gave no timeframe for a new ballot – adding to political uncertainty at a time when many Egyptians fear violence could polarize society even further. Leftist former presidential candidate Hamdeen Sabahi told Reuters he hoped the transition could last only six months. And, in common with allies on the liberal left, he insisted there had been no military coup. He called the idea an insult to Egypt.

RISING TENSIONS
In an early incident that raised tensions in Cairo, three protesters were shot dead outside the Republican Guard barracks where deposed Morsi is being held, security sources said. The army denied blame for the shootings. An army spokesman said troops did not open fire on the demonstrators and soldiers used blank rounds and teargas to control the crowd. It was unclear whether security forces units other than army troops were also present. Later, tens of thousands of cheering Islamists gathered near a mosque in a Cairo suburb where they were addressed by Brotherhood leader Mohamed Badie, free to address them despite reports on Thursday that he had been arrested.

Badie, like some other leaders, pledge that it was worth “our lives” to restore Morsi to the presidency. But Brotherhood officials have also insisted they will not resort to violence. After dark, running battles broke out in the area between Tahrir Square and the state broadcasting headquarters. Reuters journalists saw hundreds of youths from either side skirmish around the highway ramps of a major bridge over the Nile. There was some shotgun fire, rocks flew and fireworks shot between rival groups. A car was burned out. Protesters erected makeshift shields for protection. The Brotherhood said 18 of its supporters were wounded after they were attacked by “thugs”. Reuters journalists saw several men with shotgun wounds.

The army, which had pledged to protect demonstrators and keep rival factions apart, had troops in the area but violence only ended after some three hours when half a dozen armored personnel carriers arrived and took up position on the bridge. Islamists also took to the streets in cities across the country, including Assiut, Damanhour, Ismailia, and in the Nile Delta towns of Gharbeya and Beheira. In the Sinai peninsula bordering Israel, where Egypt has struggled to control security since Mubarak was toppled, five police officers were gunned down in separate attacks in the town of El Arish, medical sources said. Hardline Islamist groups have exploited a collapse in state authority after the uprising to launch attacks into Israel and on Egyptian targets.
The violence will ring alarm bells in the United States. Washington has so far avoided referring to the army’s removal of Morsi as a “coup”, a word that under U.S. law would require a halt to its $1.5 billion in annual aid.

Morsi’s opponents also say it was not a coup but an intervention to impose the “people’s will”.
The Brotherhood’s key political strategist, Khairat El-Shater, became the latest senior figure to be arrested since Morsi’s removal. A legal technicality forced Shater’s withdrawal from the presidential campaign last year, promoting Morsi into being the movement’s candidate. Brotherhood spokesman Gehad El-Haddad said the movement was faced with a crackdown from a state establishment unreformed from the days of Mubarak: “It’s the old police state of Mubarak with every ingredient and nightmare that it had before the January 25 revolution. It’s as if we hit the reset button.” But many Egyptians saw the military as a guarantor of stability at a dangerous time for the largest Arab nation of 84 million people. “Maybe they will need to issue a curfew. Maybe the trouble will last a few days,” said Said Asr, 41, sitting with friends outside a Cairo cafe smoking a cigarette. “But the army is everything in this country. And they are taking control.”






 Date: 06-07-2013
Source: The Daily Star
কিমা-আলুর চপ:

উপকরণ: মাংসের কিমা ১ কাপ, আলু আধা কেজি, পেঁয়াজ বেরেস্তা আধা কাপ, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াসস ১ চা-চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা-চামচ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, রসুন বাটা সিকি চা-চামচ, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি ফেটানো, টোস্টের গুঁড়া দেড় কাপ, তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে গরম অবস্থায় চটকে নিয়ে তাতে বেরেস্তা, গোলমরিচের গুঁড়া, লবণ, বিট লবণ দিয়ে মাখিয়ে ৮-১০ ভাগ করে রাখতে হবে। মাংসের কিমা সয়াসস, গরম মসলার গুঁড়া, আদা বাটা, রসুন বাটা ও সামান্য লবণ দিয়ে অল্প পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে এবং সামান্য তেলে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি ও পুদিনাপাতা দিয়ে ভেজে নিতে হবে। আলুর মধ্যে কিমার পুর ভরে পছন্দমতো চপের আকার করে ফেটানো ডিমে ডুবিয়ে ও টোস্টের গুঁড়ায় গড়িয়ে নিয়ে ডুবোতেলে চপগুলো বাদামি রং করে ভাজতে হবে।


 আলুর দইবড়া:

(বড়ার জন্য) উপকরণ: কুচি করা আলু সেদ্ধ ১ কাপ, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, ভাজার জন্য তেল পরিমাণমতো।
প্রণালি: ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে বড়ার আকারে তৈরি করতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ২ টেবিল চামচ পানি দিয়ে ফেটে আলুর বড়াগুলো ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে ডুবোতেলে বাদামি রং করে ভেজে নিতে হবে।
গ্রেভির উপকরণ: টক দই ২ কাপ, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি ১ টেবিল চামচ, বিট লবণ আধা চা-চামচ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, তেঁতুলের সস আধা কাপ, আদা কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ।
দইবড়া তৈরির প্রণালি: তেঁতুলের সস, শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া, পুদিনাপাতা কুচি, আদা ও কাঁচা মরিচ কুচি ও জিরা টালা গুঁড়া বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে আলুর বড়ার ওপরে ঢেলে দিতে হবে। পরিবেশনের সময় বাকি উপকরণগুলো আলুর দইবড়ার ওপর ছিটিয়ে দিতে হবে।


সবজি আর চিংড়ির টেম্পুরা:

উপকরণ: চিংড়ি ১ কাপ, ওয়েস্টার সস ৪ টেবিল চামচ, কচি ও টাটকা পছন্দমতো সবজি ২ কাপ যেমন—গাজর, বরবটি, শসা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, আলু, ঢ্যাঁড়স, পটোল, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ অথবা শীতকালে ফুলকপি, ব্রকলি, বাঁধাকপি, সিম, টেম্পুরা পাউডার দুই কাপ, লবণ স্বাদমতো, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া সামান্য, শুকনা মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, মধু ১ টেবিল চামচ, পানি পরিমাণমতো, ভাজার জন্য তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: চিংড়ির লেজ রেখে মাথা ও খোসা বাদ দিয়ে ১ টেবিল চামচ ওয়েস্টার সস দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। সব সবজি পছন্দমতো আকারে পাতলা করে কেটে নিয়ে সামান্য লবণ, ৩ টেবিল চামচ ওয়েস্টার সস ও ১ চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। টেম্পুরা পাউডার, মধু, মরিচ গুঁড়া, লবণ, ১ চা-চামচ গোলমরিচ গুঁড়া ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে ব্যাটার তৈরি করে নিতে হবে। তাতে সব সবজি, চিংড়ি, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচে ডুবিয়ে ডুবোতেলে ভেজে ওঠাতে হবে।


ফলের সালাদ: 

উপকরণ: আম কিউব করে কাটা ১ কাপ, আপেল কিউব করে কাটা ১ কাপ, আঙুর টুকরা আধা কাপ, আনারস কিউব ১ কাপ, কলা টুকরা ১ কাপ, পছন্দমতো আরও নানা ফলের টুকরা ১ কাপ, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, মধু ২ টেবিল চামচ, সালাদ ড্রেসিং ৩ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, লবণ সামান্য, বিট লবণ ১ চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, ক্রিম ১ কাপ, পুদিনাপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ।
প্রণালি: বড় বাটিতে ফলের সঙ্গে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


ম্যাঙ্গো কোলাডা:

উপকরণ: আমের ঘন শাঁস ২ কাপ, আমের ফ্লেভারের জুস তৈরির পাউডার ৪ টেবিল চামচ, চিনি ৪ টেবিল চামচ, মধু ২ টেবিল চামচ, ঠান্ডা পানি ৪ কাপ, সোডাপানি প্রয়োজনমতো, পেস্তা বাদাম কুচি ২ টেবিল চামচ, বরফ কুচি পরিমাণমতো।
প্রণালি: সোডা বাদে সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে গ্লাসে অর্ধেক নিয়ে নিতে হবে। ওপর থেকে সোডা ঢেলে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।












Source: Doinik Prothom Alo, Noksha

aas