Background

Background

Lights of BANGLADESH

  • image1
  • image2
  • image3
  • image4
  • image2
  • image1
  • image4
  • image3

সরকারের গঠিত গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন ব্যাংকটিকে বিকেন্দ্রীকরণের নামে এর কাঠামো ভেঙে টুকরা টুকরা করার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে এর স্বাধীন ও স্বতন্ত্র অস্তিত্ব অস্বীকার করে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্তৃত্ব সরকারের হাতে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছে তারা। আমরা সরকারের এই অনৈতিক, অবাস্তব ও গণবিরোধী পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানাই। আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, কমিশন কেবল সুপারিশ করেই ক্ষান্ত হয়নি, আগামী ২ জুলাই ‘গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কাঠামো: কিছু বিকল্প’ নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করেছে, যার মূল বক্তা থাকবেন অর্থমন্ত্রী নিজে। যে প্রতিষ্ঠানটি এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারের বিরল সম্মান বয়ে এনেছে, সেই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার এখতিয়ার সরকারের আছে কি না, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
 
গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে কমিশন সেগুলো প্রতিবিধানের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে পারত। সেসব না করে তারা এমন কিছু উদ্ভট সুপারিশ করেছে, যা বাস্তবায়নের প্রশ্নই ওঠে না। গ্রামীণ ব্যাংককে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতো ১৯ বা ততোধিক ভাগে ভাগ করার প্রস্তাব কেবল অযৌক্তিক নয়, হাস্যকরও বটে। মৌলিক প্রশ্ন হলো, এই কমিশন গঠনের আদৌ প্রয়োজন ছিল কি না? গ্রামীণ ব্যাংক খারাপ চলছে, এই দাবি সরকারের পক্ষ থেকেও কেউ করেননি। যে গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ মালিকানা ৮৪ লাখ গ্রাহকের, যাঁদের ৯০ শতাংশ গ্রামের দরিদ্র নারী; মাত্র ৫ শতাংশ মালিকানা নিয়ে সেই ব্যাংকের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এখতিয়ার সরকারের আছে কি না? এত বছর পর ব্যাংকটির মালিকানা পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ল কেন? সেটি কি এই কারণে যে, সরকার একাধিকবার উদ্যোগ নিয়েও ব্যাংকের একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারেনি? সেটি কি এই কারণে যে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে দরিদ্র মানুষের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? সেটি কি এই কারণে যে, ব্যাংকটি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
 
যেখানে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোই সরকার চালাতে পারছে না এবং প্রায় প্রতিটি ব্যাংক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে হাবুডুবু খাচ্ছে, সেখানে গ্রামীণ ব্যাংকটির ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই বা কী থাকতে পারে? এর ফলে বিশ্বজোড়া সুনাম অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, এর সঙ্গে জড়িত ৮৪ লাখ গ্রাহকের জীবন-জীবিকাও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
 
তাই সরকারের কাছে জোর দাবি, অবিলম্বে গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর সব ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। সরকারের নিজের কর্তৃত্বে যেসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় মনোযোগী হোন। অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন। গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর অযাচিত নাক গলানোর জন্য ইতিমধ্যে সরকার নিজের ও দেশের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে। এই ক্ষতির পরিমাণ আর না বাড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। আগামী ২ জুলাই আহূত তথাকথিত কর্মশালা বাতিল করে গ্রামীণ ব্যাংককে তার মতো চলতে দিন। অনেক হয়েছে, আর নয়।







 উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো


কেমিক্যাল ও ফরমালীন মুক্ত আম চেনার উপায় ...

 ১. আমের গায়ে এক ধরনের সাদা পাউডার থাকে । যা পানিতে বা ফরমালীনে চুবালে চলে যায় ।
২. কেমিক্যালে পাকানো আম হলুদ না হয়ে সাদার মত রং ধারন করে ।
৩. ফরমালীন দেওয়া আমে মাছি বসে না ।  



ফরমালিন শনাক্তকরণ যন্ত্র নিয়ে সন্দেহ ;

আমে ফরমালিনের অস্তিত্ব নিয়ে খাগড়াছড়ির বাগানমালিকেরা আতঙ্কে রয়েছেন। বাগানমালিকদের দাবি, তাঁরা আমে ফরমালিন দেননি। তবু যন্ত্রে ফরমালিনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আর তাই যন্ত্রটি নিয়ে বাগানমালিকদের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। বিষয়টির সুরাহা করতে আমবাগানের মালিকেরা গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন। জেলা প্রশাসক যন্ত্রটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আমে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়ায় এরই মধ্যে পৌর এলাকার দুজনের দণ্ড হয়েছে।
 
খাগড়াছড়ি বাজারে গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত আমে ফরমালিন মেশানোর দায়ে খাগড়াছড়ি সদরের আম বিক্রেতা নাসির হোসেন ও নুরুল ইসলামকে দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ সময় অন্যান্য আমবাগানের মালিকেরা দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চান, আসলে তাঁরা আমে ফরমালিন দিয়েছেন কি না। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিশ্চয়তা দিয়ে বাগানমালিকদের জানান, আমে ফরমালিন মেশানো হয়নি। এর পর থেকে বাগানমালিকদের সন্দেহ দানা বাঁধে। খাগড়াছড়ি সদরের আমবাগানের মালিক সানু মং মারমা, অনিমেষ চাকমা, বাবু মারমা, বাবুচ্যি মারমাসহ কমপক্ষে ১০ জন গত শনিবার পৌরসভার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অমর বিকাশ চাকমাকে নিয়ে খাগড়াছড়ি পাহাড়ি গবেষণাকেন্দ্রে যান। তাঁরা গবেষণাকেন্দ্রের গাছ থেকে পাড়া তরতাজা আম, পাকানোর জন্য আগে থেকে পাড়া আম ও কেন্দ্রে দেশীয় জাতের—এই তিন ধরনের আম ফরমালিন শনাক্তকরণ যন্ত্রে পরীক্ষা করেন। যন্ত্রে সদ্য পাড়া আমে ২৬ দশমিক ২৬ মাত্রা, পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা আমে ৪ দশমিক ১৯ ও দেশি আমে ৮ দশমিক ৩০ মাত্রার ফরমালিনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
 
যন্ত্রে পরীক্ষা করার সময় খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মহব্বত উল্লাহ্ও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, গবেষণাকেন্দ্রে আমে ফরমালিন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রোগবালাই থেকে আমকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই কীটনাশক, ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, যন্ত্রটি আসলে ফরমালিনের অস্তিত্বের তথ্য দিচ্ছে, নাকি আমের অন্য রাসায়নিকের তথ্য দিচ্ছে? ফরমালিন শনাক্তকরণ যন্ত্রটি ডিজিটাল। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফরমালিন শনাক্ত করতে পারে। ব্যবহূত যন্ত্রটির নাম ফরমালডিহাইড মিটার। মডেল নং জেড-৩০০। এর দেশীয় সরবরাহকারী হচ্ছে ট্রেসার ইলেকট্রোকম। খাগড়াছড়ির মেয়র রফিকুল আলম বলেন, পৌরসভার অর্থ ব্যয় করে যন্ত্রটি তিন মাস আগে কেনা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আমবাগানের মালিকদের আশ্বস্ত করেন। জেলা প্রশাসক মাসুদ করিম বলেন, শনাক্তকরণ যন্ত্রটি বিদেশে তৈরি। যন্ত্রটি সঠিক তথ্য দেবে, এর নিশ্চয়তা কোম্পানি থেকে দেওয়া আছে। তবু এ ব্যাপারে আলোচনা করে দেখা হবে।


মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বিষাক্ত ৯৯ টন আমঃ  (দৈনিক প্রথম আলো, তারিখঃ ১৮-০৬-২০১৩)

 মেহেরপুরের গাংনীতে ফরমালিনযুক্ত ৯৯ টন আম ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। উপজেলার কাজীপুর গ্রাম থেকে জব্দ করা বিষাক্ত সেই আম ১৯ দিন পর গতকাল সোমবার থেকে মাটিচাপা দেওয়া শুরু হয়েছে। আমগুলো কাজীপুর গ্রামের আবদুল মজিদের বাড়িতে ৮৭৮টি ড্রামে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছিল।
 
কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলম হুসাইন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আম ধ্বংসের কাজ শুরু হয়। আমগুলো যেখানে জব্দ করা হয়, সেখান থেকে তিন কিলোমিটার দূর হাড়াভাঙ্গা আখমাড়াই কেন্দ্রের পূর্বে গর্ত খুঁড়ে সেখানে ফেলা হচ্ছে। পরে তা বালু দিয়ে ভরাট করা হবে। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে দু-তিন দিন লাগবে। ব্যয় হবে ৭০-৮০ হাজার টাকা। ওই টাকা জব্দকৃত ড্রাম বিক্রি করে নির্বাহ করা হবে।  গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহামঞ্চদ আবদুস সালাম জানান, ১৫ জুনের মধ্যে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে আমগুলো ধ্বংসের জন্য প্রাণ কোম্পানিকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, অন্যথায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ড্রাম বিক্রির টাকা দিয়ে জব্দকৃত আম ধ্বংস করবে। সেই চিঠির কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিষাক্ত আমগুলো স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে। এ আমের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা (বিএসটিআই) খুলনার ঊর্ধ্বতন পরীক্ষক মাসুম বিল্লাহ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরীক্ষা করে আমে উচ্চমাত্রায় ফরমালিনের উপস্থিতি শনাক্ত করেন, যা খেলে মানবদেহের কিডনি, পাকস্থলীর ক্ষতিসহ দ্রুত মৃত্যুর কারণ হতে পারত। তবে আমগুলো ড্রামের মুখ আটকে রোদের নিচে যেভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছিল, সেটাও বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
 
গত ২৮ মে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজীপুর মাঠপাড়ায় আবদুল মজিদের বাড়ি থেকে ৮৭৮টি ড্রামভর্তি আম জব্দ করেন। সেখান থেকে আবদুল মজিদ ও মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত দুজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। তাঁরা এখন মেহেরপুর কারাগারে আছেন।





সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো 



ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছেন, জাতীয় কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী দায়িত্ব নিলে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন। গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে নতুন আট কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
 
 মনমোহন বলেন, ‘আমি মনে করি রাহুলের নেতা হওয়ার সব যোগ্যতা আছে। তিনি দেশের যোগ্য নেতা হবেন। তাঁর এবার আমার স্থানে আসা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তৃতীয়বারের জন্য ইউপিএ ক্ষমতায় আসবে।’






 Source: Dainik Prothom Alo
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ক্ষেত্রে দুটি সূচক ওলট-পালট হয়ে গেছে। তিনি চেয়েছিলেন মূল্যস্ফীতির সূচক হবে কম, বিনিয়োগের সূচক হবে বেশি। কিন্তু এই দফায় পঞ্চম বাজেট দিতে গিয়ে দেখছেন, সূচকের যেন অদল-বদল হয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতির সূচক বেড়েছে, বিনিয়োগের সূচক কমেছে, বিশেষ করে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ কমে গেছে।  অর্থমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় বিপাক এই দুটি সূচক নিয়েই। কারণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ তাঁর দলের প্রথম অগ্রাধিকার। আর বিনিয়োগ বাড়ানো নিয়ে তিনি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মতো নতুন একটি ধারণা দিয়ে চমক দিয়েছিলেন। চার বছর পরও পিপিপি বাজেট বক্তৃতার মধ্যেই থেকে গেছে। যেমন বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

মহাজোট সরকারের শেষ বাজেটে অর্থমন্ত্রীর সামনে আরও চ্যালেঞ্জ আছে। "এই বাজেট হতে হবে জনতুষ্ট। কারণ, সামনেই নির্বাচন। রাস্তাঘাট বানানো আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার প্রবল চাপ এসেছে দলের ভেতর থেকেই। কর বাড়ানো চলবে না। পদ্মা সেতু নিয়ে দৃশ্যমান কিছু করতে হবে। আয় যাই হোক, ব্যয় বাড়াতে হবে। কারণ, শেষ সময়ে ব্যয় বাড়ানোর নানা চাপ রয়েছে অর্থমন্ত্রীর ওপর।" - ফলে বিশাল আকারের বাজেট দিতে হয়েছে অর্থমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে নতুন অর্থবছরের নতুন বাজেট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশাল আকারের এই বাজেট অবশ্য বাস্তবায়ন করবে নতুন একটি সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলেছে, আগামী ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেট এক লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা থেকে আগামী অর্থবছরে ৩০ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা বেশি।

আগামীবারের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা, আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে চলতিবারের জন্য প্রাক্কলন করা হারের সমান, অর্থাৎ ৭ দশমিক ২ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার প্রাক্কলন করা হচ্ছে ৭ শতাংশ, চলতি বছর যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অনুদান বাদে সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, অর্থাৎ ৫৫ হাজার ৩২ কোটি টাকা। তবে অনুদানসহ হিসাব করলে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৮ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। আগামী বাজেটে অনুদানসহ রাজস্ব পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকছে এক লাখ ৭৪ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক লাখ ৬৭ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়া এবং বিদেশি অনুদান ছয় হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে অনুদানসহ রাজস্ব পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৪৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছিল। তিন ধরনের সংগ্রহের মধ্যে আগামীবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত করব্যবস্থা থেকে এক লাখ ৩৬ হাজার ৯০ কোটি টাকা, এনবিআর-বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে পাঁচ হাজার ১২৯ কোটি টাকা এবং কর ব্যতীত পাওয়া বাবদ ২৬ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী বাজেটে অনুন্নয়নমূলক ব্যয় ধরা হচ্ছে এক লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের ব্যয় এক লাখ ১১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা থেকে যা ২৩ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন বাজেটে মোট উন্নয়নমূলক ব্যয় ধরা হচ্ছে ৭২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ছিল ৬০ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবছরে ৩২ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা থাকলেও বাজেট ঘাটতি মেটাতে আগামী অর্থবছরে সরকারকে ৩৩ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিতে হবে। ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ২৫ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকা এবং ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে সরকারের সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সাত হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে চার হাজার ৯৭১ কোটি টাকার পাশাপাশি অন্যান্য উৎস থেকে আরও তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে সরকারের।

অন্যদিকে আগামী অর্থবছরে ২৩ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে নিট বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ১৪ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। কারণ, নয় হাজার ৩৩১ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করা হবে।  রাজস্ব কার্যক্রম: আগামী বাজেটের সবচেয়ে বড় দিক হলো বিনা প্রশ্নে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট কিনতে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। হস্তান্তর বা চুক্তিমূল্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে কর দিলেই অবৈধ অর্থে জমি বা প্লট কেনা যাবে। সর্বশেষ ২০০৭-০৮ অর্থবছরে জমি বা প্লট কেনার সময় সাড়ে ৭ শতাংশ হারে কর দিয়ে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে বর্তমান অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেটে (২০০৯-১০) ফ্ল্যাট ও বাণিজ্যিক ফ্লোর কেনায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। অভিজাত এলাকা ও অভিজাত এলাকার বাইরের ফ্ল্যাট কিনলে বিভিন্ন হারে প্রতি বর্গমিটারে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিলেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে। আবার ২০০ বর্গমিটারের কম আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য আলাদা করহার থাকবে। এ ছাড়া ১০ শতাংশ হারে কর দিয়ে শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আরও এক বছরের জন্য রাখা হচ্ছে। আর অপ্রদর্শিত বৈধ আয় প্রদর্শনের সুযোগেও কোনো পরিবর্তন আসছে না।

এদিকে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের বার্ষিক আয় করমুক্তসীমা দুই লাখ থেকে দুই লাখ ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হতে পারে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া মহিলা ও ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে পুরুষ করদাতাদের ক্ষেত্রে করমুক্তসীমা দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা করা হচ্ছে। আর প্রতিবন্ধী করদাতাদের তিন লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকবে। নারীদের জন্য পরিবার সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে এর মুনাফার ওপর কর মুক্ত রাখা হতে পারে। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ উৎসে কর প্রত্যাহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র—এই দুটি স্কিমে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ এই দুটি সঞ্চয়পত্রে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করলে মুনাফার ওপর করমুক্ত সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ উৎসে কর আরোপ হতে পারে। কর অবকাশ-সুবিধা ২০১৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ৩০ জুন কর অবকাশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে কর অবকাশ-সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে ধরন পাল্টাবে।

অপেক্ষাকৃত অল্প দামি গাড়ির মালিকদেরও এবার করের আওতায় আনা হয়েছে। ১৩০০ সিসির গাড়ির মালিককে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা করে কর দেওয়ার বিধান রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কস্তরের পরিবর্তন হতে পারে। মফস্বলের করদাতাদের ওপর বাধ্যতামূলক ন্যূনতম কর চাপানো হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের করদাতাদের কমপক্ষে দুই হাজার টাকা ও উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার টাকা করারোপ হতে পারে। অন্যদিকে সারচার্জের ক্ষেত্রেও কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। বর্তমানে দুই কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিককে প্রদত্ত করের ওপর ১০ শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়। আগামী বাজেটে সারচার্জের ক্ষেত্রে সম্পদের পরিমাণভেদে স্তর করে দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া ফার্মের আওতায় গঠিত প্রতিষ্ঠানের অংশীদারদের কর শনাক্তকরণ সংখ্যা (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

করপোরেট করের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন হতে পারে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মুঠোফোন কোম্পানির ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ কর আরোপ রয়েছে। এই করহার কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। এদিকে আমদানি শুল্কস্তরেও কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে। মূলধনি যন্ত্রপাতির ওপর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ কমিয়ে ২ শতাংশ করা হতে পারে। আবার মধ্যবর্তী পণ্যে তা ২ শতাংশ কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। আর নয় স্তরের সম্পূরক শুল্কের পরিবর্তে ১০ স্তর করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন স্তরে সম্পূরক শুল্কহার হতে পারে ১৫ শতাংশ, ২০ শতাংশ, ৪৫ শতাংশ, ৬০ শতাংশ, ১০০ শতাংশ, ১৫০ শতাংশ, ২৫০ শতাংশ, ৩৫০ শতাংশ ও ৫০০ শতাংশ। আর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কস্তরের পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অব্যাহত থাকবে। তবে মধ্যবর্তী পণ্যের আওতায় থাকা কয়েক শ ধরনের পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। এসব পণ্য মূলত মধ্যবর্তী পণ্যও নয়, আবার প্রস্তুতপণ্যের মধ্যেও পড়ে না। আবার পুরোপুরি ভোগ্যপণ্যও নয়। এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারে আরোপিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আবার কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে স্পনসরশিপের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ হচ্ছে।








সুত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো 
Mumbai Indians ended their IPL title drought in dashing style, defeating two times champions Chennai Super Kings by 23 runs yesterday. Mumbai’s first-ever title was confirmed even before the match entered into its final over with Chennai needing an improbable 42 runs from the last six balls. Chennai captain MS Dhoni entertained the massive Eden Gardens crowd with a couple of lusty blows against player-of-the-final Kieron Pollard, had earlier lifted Mumbai from a hopeless 52-4 to a competitive 148-9 with a fighting 60 off 32 balls.
 
Most of Dhoni’s 63 off 45 after the match had been lost, and only gave Mumbai an extended time on the field to celebrate the title even when the match was on. And moments after Mumbai Indians won, Sachin Tendulkar announced he had played his last IPL. The last ball he played didn’t come in the victory in the final, but a fortnight ago in a league match against Sunrisers Hyderabad. That ball was sent over long-on for a six, but in the process he also injured himself. He retired-hurt after that, and didn’t recover in time to play another Mumbai game.
 
“This is my last IPL,” Tendulkar announced casually in a TV interview after the win. “This has been a fantastic season. I thought our third IPL season was the best before this. “I think this is the right time to stop playing the IPL. I am 40. Got to accept it. I had decided this was my last season.” Defending a modest total, the Mumbai Indians bowlers attacked their way with Lasith Malinga, who took two wickets in the first over, and Mitchell Johnson yorking and bouncing  Chennai out of the game.


SCORES IN BRIEF
 
MUMBAI INDIANS: 148 for 9 (Pollard 60 not out, Rayudu 37; Bravo 4-42, Morkel 2-12)
CHENNAI SUPER KINGS: 125 for 9 (Dhoni 63 not out, Johnson 2-19, Harbhajan 2-14, Malinga 2-22)
 
Result: Mumbai Indians won the final by 23 runs.
Player-of-the-final: Pollard.






Source: The Daily Star

 

এটিএম বুথ থেকে প্রযুক্তি দক্ষ হ্যাকাররা অন্য কারো অ্যাকাউন্টের টাকা তুলে নিতে পারেন। এমন একজন বিশেষজ্ঞ চোরের চেয়ে এটিএম বুথের নিরাপত্তা ত্রুটির খোঁজ আর কে ভালো জানে? রোমানিয়ান হ্যাকার ভ্যালেনটিন বোয়ান্টা সম্প্রতি তাঁর এ প্রযুক্তি জ্ঞান এটিএম বুথের নিরাপত্তায় কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভ্যালেনটিন বোয়ান্টা এর আগে অপরাধ জগতের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে এটিএম থেকে চুরি করা তথ্য আর ভুয়া ব্যাংক কার্ড তৈরির প্রযুক্তি সরবরাহ করতেন। ২০০৯ সালে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন বোয়ান্টা এবং বিচারে তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু জেলে বসে মাস পাঁচেকের মধ্যেই তিনি এমনই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন যা এটিএমের তথ্য আর টাকা চুরি ঠেকাতে সক্ষম।
 
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বোয়ান্টা জানিয়েছেন, পুলিশ আমাকে ধরে ফেলায় আমি খুশিই হয়েছি। এখন নিশ্চিন্তে বসে ভালো কাজ করতে পারছি আমি। বোয়ান্টা আরও বলেন, আমি ‘স্কিমিং’ বা ক্রেডিট বা ডেবিক কার্ডের চুম্বকটিকে নকল করে হুবহু আরেকটি কপি বানিয়ে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতাম, পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধজগতের লোকেদের কাছে এ প্রযুক্তি সরবরাহ করতাম।  এ ধরনের চুরি ঠেকানোর জন্য সিকিউর রিভলভিং সিস্টেম বা এসআরএস নামে একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বোয়ান্টা। এ পদ্ধতিতে কার্ডের ম্যাগনেটিক স্ট্রিপটির কোনো তথ্য অন্য কোনো ডিভাইসে ধরা পড়ে না।
 
রোমানিয়ার জেলখানার নিজ কুঠুরিতে বসেই বোয়ান্টা তাঁর এই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। এরমধ্যেই বোয়ান্টার সঙ্গে এমবি টেলিকম নামের রোমানিয়ান একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানএ প্রযুক্তিটির জন্য চুক্তি এবং প্রযুক্তিটির পেটেন্টও করিয়েছে আর বোয়ান্টা জেল থেকে ছাড়া পেলে এমবি টেলিকমে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে বড় পদের নিশ্চিন্ত এক চাকরিও।
Cyclone Mahasen made landfall at Kuakata in Patuakhali around 9:00am Thursday, after journeying over 1,700 kilometres from its place of origin in the Bay of Bengal. The full account of the destruction was not available immediately. But at least six people have died in Patuakhali, Barguna and Bhola districts as the slow-paced cyclonic storm left a trail of destruction along its trajectory. Maintaining a 21kilometer per hour (kph) race for quite a few hours, the cyclonic storm lashed Kuakata coast, a very popular tourist destination, on its course to hit some more coastal districts. Mahasen, which developed into a cyclonic storm from an area of low pressure over the southern Bay of Bengal in early May, later journeyed towards Rangabali upazila, according to officials of local Met office. The cyclone later moved eastwards to Rangabali upazila of the district and Charfassion of Bhola, added the officials.

Meanwhile, talking to The Daily Star, Anisur Rahman, project implementation officer of Charfassion Upazila Control Room, said the cyclone lashed Char Kukri Mukri, a remote island of Bhola, around 10:00am creating havoc. After hitting Char Kukri Mukri, the cyclone struck Monpura upazila around 12:30pm, according to the upazila control room sources. The cyclone was centred about 150 kilometers southwest of Chittagong port, 140km southwest of Cox’s Bazar port and 140km south of Mongla port at 11:00am, Shah Alam, director of BMD told reporters during a press briefing at Met office Thursday morning. Kalapara upazila is the worst affected area in Patuakhali, said Amitabh Sarkar, deputy commissioner of the district.



CASUALTY

A 75-year old man died as a sharp branch of tree pierced through his abdomen when he tumbled on it amid strong gusty wind in Dhaligournagar area of Lalmohan upazila of Bhola around 8:15am, reported our correspondent. Abdul Kashem was going to a shelter in the area, said Khandaker Mizanur Rahman, officer-in-charge (OC) of Lalmohan Police Station. Meanwhile, Parvez, 6, died on the spot as a tree fell on his head at Char Madraz area of Charfassion upazila in Bhola district, our Bhola correspondent reported. Syed Ali, 75, died when a tree collapsed on him at Ranipur village in Betagi upazila of Barguna around 3:30am. Meanwhile, Siraj Akand, 80, died when a roadside tree fall on him around 7:00am at Balaikathi village in Sadar upazila of Patuakhali on Thursday. He was going a shelter, said Amitabh Sarkar, deputy commissioner of Patuakhali. Six-year old Amir Hossain of Bokultoli village in the same upazila died on heart attack hearing a sound of thunder. 
 



DESTRUCTION
According to witnesses, the whole structure of a tin-roofed residential hotel was razed to the ground and two others were damaged as the storm hit Kuakata with strong wind and heavy shower at 9:00am. None of the boarders was injured as all of them were shifted to nearby cyclone centres before the cyclone made landfall. Over 1,000 of kutcha houses in Kalapara, Golachipa, Dasmina and Rangabali upazilas of the district have been destroyed so far, said local Relief and Disaster Rehabilitation Department. More than thousand thatched houses were damaged and trees were uprooted as the cyclone left a trail of destruction in Monpura upazila of Bhola district. A number of trees were uprooted and tin-roofs of several houses were blown away in Barguna.

RAINFALL, FLOOD
Total 123 millimeter rainfall was recorded in Patuakhali district in 12 hours till 6:00am Thursday, it said. Coastal areas were remaining under five feet water around 10:00am when this report was filed.

DISRUPTION
Dhaka Meteorological Department (BMD) has lost communication with its sub-station in Bhola after the cyclone hit the area, Shah Alam, director of BMD told reporters during his briefing at 11:00am. Several mobile phone towers were uprooted, disrupting telecommunication network. There was no electricity in the seven upazilas of the district since 10:00pm Wednesday night. The district headquarters has been also facing blackout since 7:00am Thursday. Power lines remained cut off in Barguna district since 2:30am early Thursday. Road communication of Barguna with the other parts of the country came to a halt after the ferry and river vessel movement were suspended in the area. Barisal also remain without power from 2:30am Thursday.

DANGER SIGNAL
The authorities have raised the danger level to seven, on a scale of 1 to 11, for Chittagong and Cox’s Bazar ports. Coastal districts of Cox’s Bazar, Chittagong, Noakhali, Laxmipur, Feni, Chandpur, Bhola, Barguna, Patuakhali, Barisal and their offshore islands and chars (shoals) will come under danger signal number seven. Meantime, maritime port of Mongla has been advised to keep hoisted danger signal number five. Pirojpur, Jhalkathi, Bagherhat, Khulna and Satkhira coastal districts and their offshore islands and chars will come under the danger signal. According to the BMD bulletin, Cox’s Bazar, Chittagong, Noakhali, Laxmipur, Feni, Chandpur, Barguna, Patuakhali, Barisal, Bhola, Pirojpur, and their offshore islands and chars are likely to experience wind speed up to 90-100kph in gusts or squalls with heavy to very falls during the passage of the storm. Meantime, Jhalkathi, Bagerhat, Khulna, Satkhira and their offshore islands and chars are likely to experience wind speed up to 80-90kph in such gusts or squalls with heavy to very falls during the passage of the storm. All fishing boats, trawlers and marine vessels over North Bay have been advised to remain in shelter till further notice.

TIDAL SURGE
Storm surge of 8-10 feet height above normal astronomical tide may inundate the low-lying areas of the coastal districts of Cox’s Bazar, Chittagong, Noakhali, Laxmipur, Feni, Chandpur, Barguna, Bhola, Patuakhali, Barisal, Pirojpur, Jhalakathi, Bagerhat, Khulna, Satkhira and their offshore islands and chars. Water Development Board of Barguna said the district inundated by storm surge of 6-7 feet height, leaving the district town under three feet water. Strong wind has been blowing heavily in Dhahigournagar area of Lalmohan upazila in Bhola when this report was filed around 10:00am. The storm surge washed away flood protection dams at north and south points at Goyalkhali Bazar in Mujibnagar union of Charfassion upazila in Bhola district, threatening three villages.

  
'Better prepare than risk disaster'  

Disaster Management and Relief minister Abul Hassan Mahmood Ali expressed satisfaction on preparations taken ahead of cyclone ‘Mahasen’ and said it had helped cut down risk of a disaster. Ali told a press briefing on Thursday his ministry had already allotted Tk 100 million and 5,000 metric tonnes of rice to aid the victims of the cyclone.


A total of 19 helicopters, four aircrafts and 22 Bangladesh Navy vessels had been kept ready to handle the aftermath of the cyclone for rescue and relief operations, he said. “Helicoptors and aircrafts were meant for inaccessible areas,” the Minister said. Police, paramilitary Border Guard Battalion (BGB), Bangladesh Navy, Bangladesh Air Force, government officials and volunteer organisations were all working, he said. Earlier, danger signal ‘7’ was hoisted in Chittagong and Cox’s Bazar areas with warning signal ‘5’ in Mongla. Fifteen coastal areas had 3,296 cyclone shelters to house people from vulnerable areas along the coasts. Victims will be provided with relief through local administration after the storm, Ali said.

The Minister provided details of people taken to cyclone shelters- 283,000 in 479 shelter homes of Chittagong, 197,577 in 279 houses of Cox’s Bazar, 24,500 in 244 houses of Noakhali, 4,000 in 73 houses of Feni, 4,643 in 15 houses of Lakkhipur, 40,250 in 196 houses of Khulna, 27,570 in 64 houses of Satkhira, 110,00 in 231 houses of Bagerhat, 3,250 in in 229 houses of Barisal, 60,700 in 128 homes of Pirozpur, 4,000 in 28 homes of Jhalkathi, 109,332 in 322 homes of Patuakhali, 64,500 in 324 shelters of Barguna, 29,300 in 460 houses of Bhola and 4,040 in 121 shelter homes of Chandpur.

Cyclone ‘Mahasen’ weakened on impacting the Bangladesh coast on Thursday, as it breezed past the Meghna estuary to cross Noakhali and Sitakunda in Chittagong on Thursday afternoon. Bangladesh Meteorological Department Director Mohammad Shah Alam told bdnews24.com that the cyclone was expected to cross over to Myanmar in the next three to five hours. “We will consider lowering danger signal after the storm clears the coast,” he said. "It is weakening." From 6am-12noon, the storm sustained wind speed of 50 kilometres per hour, but later windspeeds fell to 25 kilometres per hour. “ While crossing Patuakhali, the storm lost much of its strength dissipated by gusty winds and rainfall.” He said the storm might pass away from Bangladesh by 9:00pm at night.

 




 Source: The Daily star,  bdnews24.com
 ৬ মে থেকে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে গুজবের দেশে। এই গুজব ভয়াবহ, অবিশ্বাস্য এবং আতঙ্কজনক। বলা হচ্ছে যে ৫ মে মধ্যরাতের পর শাপলা চত্বরে যৌথ বাহিনীর আক্রমণে কয়েক হাজার হেফাজতের কর্মী নিহত হয়েছে। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নয়, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের বক্তব্যেও এমন দাবি করা হয়েছে। সাধারণ যুক্তিতে দেখলে শাপলা চত্বরে সরকারের হত্যাযজ্ঞ চালানোর কোনো কারণ নেই। স্পষ্টত, সেদিন সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল হেফাজতের কর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত করা। এ কাজটি করার জন্য বড় ধরনের হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রয়োজন পড়ে না। তবে কোনো আন্দোলনস্থল ত্যাগ না করার জন্য অনেক মানুষ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে উঠলে সুকৌশলী অভিযান ছাড়া একদমই বিনা রক্তপাতে তাদের বিতাড়ন সব সময় সম্ভব হয় না। আমরা গত বছর থাইল্যান্ডে রেড শার্ট মুভমেন্ট দমন করার ক্ষেত্রে রক্তক্ষয়ের ঘটনা দেখেছি। শাপলা চত্বরে তাই প্রাণহানির ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক নয়। সমাবেশ উচ্ছেদ করতে গিয়ে কিছু প্রাণহানির খবর এমনকি ডিএমপি কমিশনারের বক্তব্যেও উঠে এসেছে।
 
শাপলা চত্বরে যৌথ বাহিনীর অভিযানের আগে-পরেও অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। আগে-পরের মুখোমুখি সংঘর্ষে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে, তার চেয়েও অনেক বেশি প্রাণ হারিয়েছে হেফাজতের কর্মীরা। কিন্তু শাপলা চত্বরে যৌথ বাহিনীর অভিযানটি ছিল একতরফা। পুলিশি কর্ডনের ভেতর থাকা স্লোগান বা জিকিররত মানুষকে মধ্যরাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে বিতাড়নকালে যে শক্তি প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে, তা বিরল এবং ভয়ংকর একটি ঘটনা। এ ঘটনায় সরকারের ভাষ্যমতে, তিনজন আর দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, ২০ থেকে ৪০ জন নিহত হয়েছে। ঠিক কতজন মারা গেছে বা গুলিতে আহত হয়েছে, তা নির্ভুলভাবে আমাদের জানা অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, মধ্যরাতের এই অভিযানের স্বচ্ছতা ও যৌক্তিকতা সম্পর্কে আলোচনা এবং গোটা ২০১৩ সালে বিপুলসংখ্যায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনের কারণ উপলব্ধি করা।
২.
শাপলা চত্বরের অভিযানটি পরিচালিত হয় রাত আড়াইটার দিকে। অভিযানের রেকর্ডেড ভার্সন এই সরকারের সময় লাইসেন্স পাওয়া দুটো টিভি চ্যানেল (সময় ও ৭১) তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার করে। আমার জানামতে, পুলিশি অভিযানটি লাইভ সমপ্রচার করে কেবল দিগন্ত টিভি, যার মালিক জামায়াতের একজন নেতা। দিগন্ত টিভির সমপ্রচারে অভিযানের ভয়াবহতা বেশি দৃশ্যমান ছিল এবং টিভিটির নেওয়া প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকারে শত শত প্রাণহানির দাবি করা হয়েছিল। চ্যানেলটির সমপ্রচার প্রায় তাৎক্ষণিকভাবে সরকার বন্ধ করে দেয়, অনুরূপ কারণে বন্ধ করে দেয় বিএনপিপন্থী চ্যানেল ইসলামিক টিভির সমপ্রচারও।  এই অভিযানের প্রকৃতি ঠিক কী রকম ছিল, তা আমাদের পক্ষে পুরোপুরি বোঝা সম্ভব নয়। কিন্তু তাই বলে এই প্রশ্ন তোলা অবান্তর নয় যে শাপলা চত্বরের অভিযানটি যথাযথ ছিল কি না। শাপলা চত্বরের মানুষ মধ্যরাতে কি কারও জানমালের প্রতি তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি ছিল? তাদের ওপর শক্তি প্রয়োগের সময় কি প্রয়োজনের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা হয়নি? এই অভিযান ভোরের আলোয় সব গণমাধ্যমকে সামনে রেখে করা হলে কি প্রাণহানির আশঙ্কা এবং প্রাণহানিসংক্রান্ত গুজব হ্রাস করা যেত না? হেফাজতে ইসলাম, বিশেষ করে আল্লামা শফীর সঙ্গে আরও আলোচনা করে তাদের স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কি শাপলা চত্বর ত্যাগ করানোতে রাজি করা যেত না? মধ্যরাতের অভিযানটির বিকল্প কোনো কৌশলী পদক্ষেপ নেওয়ার যথেষ্ট চেষ্টা কি সরকার করেছিল?
 
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সকালে শাপলা চত্বরের সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ চালানোর আশঙ্কা ছিল। পুলিশের বক্তব্য এই রাষ্ট্রের চরিত্রের প্রতিফলন হিসেবে সবার কাছে বিশ্বাসযোগ্য নাও মনে হতে পারে। তবে এটি ঠিক যে হেফাজত অনুমোদিত সময়ের অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করার কারণে এবং ৫ মে শহরে বিভিন্নমুখী সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পরদিন ৬ মেতেও ঢাকার রাজপথে ব্যাপক গোলযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা ছিল। ৬ মে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ ডাকার কারণে এই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল। এসব বিবেচনায় শাপলা চত্বর হেফাজতের দখল থেকে মুক্ত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রয়োজনে হয়তো আবশ্যক ছিল। কিন্তু তা গভীর রাতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে শত শত বুলেট আর সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে কেন? কেন তা মিডিয়ার সীমাবদ্ধ উপস্থিতির মধ্যে? এই অভিযান প্রচারকারী বিরোধী দলপন্থী টিভি চ্যানেলগুলোকে কেন বন্ধ করে দেওয়া হলো যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান না করে?

শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গুজবের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এসব কারণেই। সামপ্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি পুলিশের নির্বিচারে শক্তি প্রয়োগের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। আত্মরক্ষার বা অন্যের জানমাল বাঁচানোর প্রয়োজন না হলে পুলিশের শক্তি প্রয়োগের কোনো আইনি অধিকার নেই। এই শক্তি প্রয়োগও করতে হয় যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই। শটগানের ছররা গুলি বা রাবার বুলেট লেথ্যাল উইপন নয়, কিন্তু যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করলে এগুলোও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। শাপলা চত্বরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সামপ্রতিক কালে পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর এসব অস্ত্রে বহু মানুষের প্রাণহানির ঘটনা যদি এই রাষ্ট্রের কাছে সহনীয় হয়ে ওঠে, তাহলে ভয়াবহ এক অন্ধকারের দিকে আমরা ধাবিত হব।
শাপলা চত্বরে অভিযানের আগে পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সারা দিন ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কি শুধু হেফাজতে ইসলাম জড়িত ছিল, তাদের ভেতর অবস্থান নিয়ে বিএনপি বা জামায়াত-শিবির কি এসব কাজ করেছিল, সংঘর্ষ উসকে দিতে আওয়ামী লীগের কর্মীরাও কি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল বা এ সময় পুলিশ আসলে কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল—এ ধরনের নানা প্রশ্ন জনমনে রয়েছে। আমরা টেলিভিশনে দেখেছি যে পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষের সময়ও শাপলা চত্বরে সমাবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। এসব সংঘর্ষের ঘটনা তাই গভীর রাতে শাপলা চত্বরে পুলিশি অভিযানের যৌক্তিকতা সৃষ্টি করেছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলার অবকাশ রয়েছে।

৩.
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরসহ নানা ঘটনায় বহু অস্বাভাবিক মৃত্যুর মিছিল দেখছি আমরা। বছরের শুরু থেকে নানা কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামি সংগঠনগুলোর কর্মীদের ওপর পুলিশের ব্যাপক গুলিবর্ষণের নানা ঘটনা ঘটেছে। এসব কর্মসূচি কখনো কখনো অত্যন্ত সহিংস ছিল, কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের ওপর বর্বর আক্রমণের কিছু ঘটনাও ঘটেছে। কিছু ক্ষেত্রে আত্মরক্ষার প্রয়োজনে, কিছু ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রয়োজন ছাড়াই পুলিশি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর বা ঢাকার শাপলা চত্বরের মতো কিছু ঘটনায় পুলিশি অভিযানের যৌক্তিকতা ও তীব্রতা নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
এসব ঘটনার সঙ্গে ভবিষ্যতে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার বা আসার লক্ষ্যে মাঠ পরিস্থিতির ওপর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ রাখার রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করা যায়। এমনকি সাভারে রানা প্লাজায় হূদয়বিদারক গণমৃত্যুর ঘটনাও হয়তো ঘটত না, যদি সেদিন সেখান থেকে হরতালবিরোধী মিছিলের আয়োজনের চিন্তা সরকারি দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কাজ না করত। কোনো না কোনোভাবে এসব মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক সরকার ও বিরোধী দলের বেপরোয়া ও সংঘাতমূলক রাজনীতি দায়ী। এই রাজনীতির উপসর্গই মৃত্যু, ধ্বংস, নৈরাজ্য ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা। 

এই পরিস্থিতির আশু অবসান প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি যে দেশের দুটো প্রধান গণতান্ত্রিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আগামী নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বহুলাংশে দূর হবে। যুদ্ধাপরাধীদের জন্য সহায়ক আন্দোলন তাতে দুর্বল হয়ে যাবে, হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনের পেছনে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক মদদও অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ক্রমাগত হরতাল ও পুলিশি অভিযানে ইতিমধ্যে সমাজে নানা অসন্তোষ, অনিশ্চয়তা ও আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা হলে হরতাল ও বিরোধী দলের প্রতি দমনমূলক কর্মকাণ্ডও হ্রাস পেতে বাধ্য।
সমঝোতার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে নির্বাচনকালে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব প্রশংসনীয়, কিন্তু যথেষ্ট নয়। সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন, এ নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে কি না, তা আওয়ামী লীগকে আগে বলতে হবে। ১৯৯৬ সালে অনুরূপ পরিস্থিতিতে প্রস্তাবিত সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়াকে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ মানতে রাজি হয়নি। কাজেই আওয়ামী লীগও এখন আশা করতে পারে না যে আগামী সর্বদলীয় সরকারের প্রধানহিসেবে শেখ হাসিনাকে মেনে নেবে বর্তমান বিরোধী দলগুলো।
 
তা ছাড়া বাংলাদেশে সরকার পদ্ধতি এমনই যে সরকারপ্রধান এখানে প্রায় সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। এ পদে সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে দলীয় কোনো নেতা (বিশেষ করে হাসিনা বা খালেদার মতো পরাক্রমশালী কোনো নেতা) দায়িত্ব পালন করলে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। কাজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হলে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান প্রশ্নে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হওয়া সবচেয়ে জরুরি। তা না হলে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কোনো অবসান ঘটবে না  দেশে। রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হলে উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতার দ্বন্দ্বেও প্রাণ হারাচ্ছে বা সর্বস্বান্ত হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ, সমাজের ওপরতলার কেউ নয়। দেশের মানুষকে ও দেশকে ভালোবাসলে তাই আগামী নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান দল দুটোকে করতেই হবে।
 
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

UN Secretary-General Ban Ki-moon on Tuesday called on all parties in Bangladesh to put a stop to the violence following clashes in the capital, Dhaka, over the past two days. “The Secretary-General has been following the recent wave of violence in Bangladesh with increasing concern and is saddened by the loss of life, including during the events that unfolded in Dhaka throughout Sunday and into Monday,” Ban’s spokesperson said in a statement.

“The Secretary-General calls on all concerned to stop the violence, to respect the law and to express their views peacefully.” According to media reports, more than 30 people have died and 60 had been injured in clashes between police and protesters in the capital. Ban also urged political and religious leaders to “engage in constructive dialogue and help defuse the tensions.” The clashes come just over a week after a garment factory building collapsed in the outskirts of Dhaka, killing more than 650 people.

The Daily Star

A BASIC sign of the rule of law underscoring societal and political life is a working of it in natural manner. Given this premise, the owners of Rana Plaza and the garment establishments located in the collapsed building should have been nabbed immediately by the law enforcers and produced before the law. That it has not happened is a sad commentary on the state of affairs. The prime minister having ordered the arrest of those responsible for the tragedy in Savar, we hope to see some effective action in arresting them. 

We expect justice to be done, knowing full well that if the owners of the building and the factories go free this time, the ramifications can only be horrendous. That of course raises the very necessary question of why garment industry owners have, despite the hundreds of deaths of workers in accidents at their factories, remained beyond the pale of the law. In recent years and months, accidents have claimed the lives of workers at such establishments as Tazreen Fashions, Smart Fashions, Spectrum and now at Rana Plaza. Altogether 112 workers perished in the Tazreen fire last November; 65 workers died in the Spectrum tragedy in 2005; and seven lost their lives in the January 2013 Smart Fashions tragedy. Except for the owners of Smart Fashions, which has no BGMEA affiliation, none of the owners of the establishments in question have been punished. The owner of Tazreen was seen moving around freely at the last BGMEA elections. A number of inquiry bodies, each one formed after the occurrence of a tragedy, have submitted reports which have never seen the light of day.

Such a situation needs to be corrected. The first step is to place the BGMEA under a scanner in order to probe its role in ensuring better security for workers. BGMEA leaders, regularly concerned about violence in the garments sector, have not convinced the nation that they have done their job where taking the owners of bad RMG factories to task is concerned. The government must be under no illusion about what it needs to do, which is that all garment industry owners whose indifference and callousness have led to the deaths of workers must be taken to task. It is time to say enough. A failure to act decisively this time will only strengthen what is now a growing culture of impunity.

Finally, one needs to ask the BGMEA leadership: what prevented them from ordering the two-day closure of garment industries, the day on and after the tragedy, rather than yesterday? That way they could demonstrate their sensitivity to the plight of garment workers and express solidarity with them better.






Source: The  Daily Star

aas